নিজস্ব সংবাদদাতা : নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করল বিজেপি। তারপর সাংবাদিক সম্মেলন করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, আক্রমণ শানান রাজ্যের শাসক দলকে। পাশে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্বরা। এদিন শুভেন্দু বলেন, ''পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে নবান্নের ১৪ তলা থেকে। ২০২৩ সালে শাসকদলের শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে বলেও সুর চড়ান বিরোধী দল নেতা। বলেন, কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে। মানুষের টাকায় রাজ্য সরকার একের পর এক মামলা করছেন । নির্দল থেকে বিজেপি সকলেই আক্রন্ত। এরকম ভোট আগে দেখিনি।''
রাজ্যের প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, ''বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় শুরু হয়েছে বাম আমল থেকে। ১৫০০০ আসন বামফ্রন্ট বাম আমলে জিতেছিল। কেশপুর আরামবাগ খানাকুলে পুলিশ ঢুকতে পারছিল না বাম আমলে। ২০০৮ সালে কিছুটা প্রতিরোধ হয়েছিল। ২০১৩ সালের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিলেন মীরা পাণ্ডে। ২০১৩ সালের ভোটে রক্তপাত কম হয়।মীরা পাণ্ডে বুঝতে পেরেছিলেন যে তৃণমূল সরকার ভোট লুঠ করবে।'' শুভেন্দুর আরো অভিযোগ, নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ হচ্ছে রাজ্যে। কে পুলিশ? কে তৃণমূল? কে লড়ছে? কে লড়াচ্ছে? প্রশ্ন উঠছে।
সকালেই সুকান্ত মজুমদার একটি ভিডিও ট্যুইট করে দাবি করেছিলেন যে ঝাড়গ্রামে কুড়মি সম্প্রদায়ের এক বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহারের চেষ্টা করছে পুলিশ। প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগও উঠেছে। এবার শুভেন্দুও বিষয়টি নিয়ে সুর চড়ালেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা থেকেই কমিশনের ওপর ক্ষুব্ধ বিরোধী দল। বিরোধীদের অন্ধকারে রেখে দিন ঘোষণার অভিযোগ করা হয়। এরপর রাজ্যপুলিশ দিয়ে ভোট করানোর যে সিদ্ধান্তে অনড় ছিল রাজ্য ও কমিশন তা নিয়েও বিরোধ বাধে বিরোধীদের সঙ্গে। মনোনয়ন পর্বে যে পরিমাণ অশান্তি হয়েছে তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট সম্ভব নয় বলে দাবি তোলে বিজেপি। জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। রাজ্যপালও রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। একাধিকবার রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ইস্যুতে তার দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতারা। বিশেষ করে সুকান্ত মজুমদার তার কাছে সেই সব প্রার্থীদের নিয়ে গিয়েছিলেন যাদের মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ১৪৪ ধারা জারি থাকার পরেও কীভাবে অশান্তি ঘটছে তা নিয়ে কমিশনের দিকে উঠছে আঙুল। উঠছে বিধি ভঙ্গের অভিযোগ।