নিজস্ব সংবাদদাতা : ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরিস্থিতির দিকে নজর ছিল পুলিশ-প্রশাসন- আমজনতা থেকে রাজনৈতিক দলগুলির। জেলায় জেলায় যে পরিমাণ অভিযোগ উঠেছে ভোট লুট থেকে ছাপ্পা সহ হামলা-অশান্তির তাতে কংগ্রেসের কথা মিলে গেল বলে জোর গলায় বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অশান্তির প্রেক্ষাপটে তিনি আবারো প্রশ্ন তোলেন, 'ভোট করার দরকার কি ছিল? আমরা তো আগেই বলেছিলাম লুঠ হবে। আমাদের কথাই প্রমাণ হল। নব জোয়ার মানে নব লুঠের ব্যবস্থা করা হল।'
এদিকে ভোটের সকালে নদিয়ায় তৃণমূল সমর্থককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। আবার কল্যাণদহে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন অধীর। ১১ জন তৃণমূল কর্মীর জখম হওয়ার খবর পাওয়া যায়। অধীরের বক্তব্য, কংগ্রেসের এতোই যদি শক্তি থাকতো তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য আবেদন করতো না। বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন কংগ্রেস সাংসদ। তৃণমূল-বিজেপি জোট করে বাহিনীকে সঠিকভাবে নির্বাচনের কাজে লাগায়নি বলে সুর চড়ান অধীর। দিল্লির সঙ্গে বাংলার সুন্দর সমঝোতা বলেও দাবি করেন। সেই সমঝোতার জন্যই বাহিনী আসার নামে গড়িমসির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। শেষ মুহূর্তে বাহিনী এলেও তাদের কাজে না লাগানোর অভিযোগ। তার প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রেখে ভোট পরিচালনা করার কি মানে?