নিজস্ব সংবাদদাতা : আলু-পটল-উচ্ছে-বেগুন-টমেটো থেকে মাছ-মাংস, যা দাম তাতে বাজারে যাওয়া এখন আতঙ্কের। পরিবর্তে বাড়িতেই করা যেতে পারে চাষ। ফলানো যেতে পারে সবজি। ভেবে দেখেছেন কখনও। যদি বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা বা বাগান থাকে তবে বেশ কিছু সবজি অনায়াসেই চাষ করতে পারবেন। আর যদি জায়গা না থাকে বাড়িতে, তবে বাড়ির ছাদের কিছু অংশে বাগান করতে পারেন। এছাড়াও যদি বাড়ির মধ্যে কিছুটা খালি জায়গা পাওয়া যায় সেখানেও বীজ ফেলে রাখতে পারেন মাটিতে। তারপর জল পেয়ে, রোদের স্পর্শে চারাগাছ জন্মাবে সেখান থেকে। সেখান থেকে হবে ফল বা সবজি। ঘরোয়া উপায়ে টমেটো, পেঁয়াজ পাতা, রসুন,আলু, লঙ্কা, গাজর সহজেই ফলাতে পারবেন। ঘরে যদি এভাবে কিছু সবজি ফলানো যায় তবে বাজারের অগ্নিমূল্য থেকে কিছুটা রেহাই মিলবে।
এখন প্রশ্ন হল, চাষের পদ্ধতি কী?
টমেটো চাষের ক্ষেত্রে ৬০ ভাগ মাটি আর ৪০ ভাগ কম্পোস্ট সার মিশিয়ে নিতে হবে। টমেটো আমাদের প্রতিদিনের সঙ্গী। এমন কোনো রান্না নেই যেখানে টমেটোর ব্যবহার নেই। তরকারি থেকে, মাছের ঝোল, এমনকি শেষ পাতের চাটনিতেও টমেটো লাগে। মেটোর বিজ অথবা পাকা টমেটোকে চাকা চাকা করে কেটে মাটি ও সারের মিশ্রণে দিয়ে দিন। নিয়মিত জল দিলেই ৭-১০ দিন পর সেখানে চারা গজাবে। সেই চারাগুলো একটু বড় হলে কোনো বড় পাত্রে সেগুলোকে লাগান। ভালো ফলন পেতে প্রতি দুই সপ্তাহে গাছে প্রাকৃতিক সার ব্যবহার করুন। এভাবে তিন মাসেই পাবেন ফলন।
রান্নায় ঝাল না হলে হয়! লঙ্কা চাষের জন্য প্রয়োজন এমন একটা জায়গা যেখানে রোদ পৌঁছতে পারবে। লঙ্কার দানা মাটিতে ছড়িয়ে দিলেই সেখান থেকে গাছ বেরবে।
গাজরের জন্য কোনো পাত্রে মাটি নিয়ে সেখানে ২-৩ ইঞ্চি ব্যবধানে গাজরের বিজ লাগান। বিজ লাগানোর পরে সেখানে নিয়মিত জল দিন, আর চারা গজালে মাটিকে মোটামুটি শুকনো রাখতে হবে। পাত্রটিকে এমন স্থানে রাখতে হবে, যেখানে দিনে ৬-৮ ঘণ্টা গাছে রোদ লাগবে। এভাবে ৭০-৮০ দিনে আপনি পেতে পারেন গাজরের ফলন। রসুনের জন্য রসুনের কোয়া ব্যবহার করেই করতে পারেন আবার উৎপাদন। তবে সে কোয়াগুলো হতে হবে সম্পূর্ণ জৈব। আলু ফলানোর জন্য আলু থেকে কুশি বের হওয়া অংশগুলো ঠিক রেখে আলুগুলো ছোট অংশ করে কেটে নিতে হবে। এর পর সেগুলোকে প্রায় ৮ ইঞ্চি পরিমাণ গর্ত করে লাগিয়ে দিতে হবে। আর পাশাপাশি লাগানোর ক্ষেত্রে প্রায় ১২ ইঞ্চির মতো দূরে লাগাতে হবে। মাটি শুকিয়ে গেলে নিয়মিত জল দিন। ২-৩ মাস পরেই পাবেন ফসল।