আইবিএস-এ সাবধান​

আইবিএস হল এক ধরনের জটিল পেটের অসুখ। এই রোগে ভুক্তভোগীরা প্রায়শই ডায়ারিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যের ফাঁদে পড়েন। আর মুশকিল হল, কফি পান করার পর আইবিএস-এর প্রকোপ আরও বাড়ে। তাই এই অসুখে ভুক্তভোগীদের কফি থেকে দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষত, দুধ মেশানো কফি তো এনাদের পক্ষে প্রায় বিষের সমান। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখা জরুরি।

গ্লকোমা থাকলেও কফি নয়​

চোখের জটিল অসুখ হল গ্লকোমা। এই রোগের ফাঁদে পড়লে ধীরে ধীরে ক্ষীণ হতে থাকে দৃষ্টিশক্তি। আর খারাপ খবর হল, এই রোগে ভুক্তভোগীদেরও কফির কাপে চুমুক দিতে বারণ করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, বেশি পরিমাণে ক্যাফিন গ্রহণ করলে গ্লকোমার সমস্যা দ্রুত গতিতে বাড়তে পারে। তাই সুস্থ থাকতে এই রোগে আক্রান্তদের অবশ্যই কফির থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার

কফির মধ্যে ডাইউরেটিক্স উপাদান রয়েছে। তাই কফি খেলে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ে। আর এই কারণেই কফি খাওয়ার পর ফাঁপড়ে পড়েন ব্লাডার ডিজিজে ভুক্তভোগীরা। তাঁদের বারবার প্রস্রাবে দৌড়াতে হয়। এমনকী প্রস্রাব লিক করার আশঙ্কাও থাকে। তাই ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডারের সমস্যা থাকলে আপনাকে অবশ্যই কফি এড়িয়ে যেতে হবে। নইলে যে সমস্যার শেষ থাকবে না।

প্রেগন্যান্সিতে এড়িয়ে চলুন​

গর্ভাবস্থায় কফি না খাওয়াই মঙ্গল। নইলে মিসক্যারেজ, প্রিম্যাচিওর লেবার থেকে শুরু করে একাধিক সমস্যার ফাঁদে পড়তে পারেন। আর একান্তই যদি গর্ভাবস্থায় এই পানীয়তে চুমুক দেওয়ার ইচ্ছে হয়, তাহলে সবার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। আশা করছি, তাঁর বলে দেওয়া পরিমাপে কফি খেলে আপনি অনায়াসে সমস্যার ফাঁদ এড়িয়ে যেতে হবে।