নিজস্ব সংবাদদাতা: একটা বছর ঘুরে নতুন একটা বছর আসছে। নতুন একটা বছর আসা মানে নতুন নতুন রিসোলিউশন। নতুন প্রতিজ্ঞা। কিন্তু আমরা সব সময় নতুন রিসোলিউশনগুলো সপ্তাহ খানেক মানার পরেই তা বন্ধ হয়ে যায়। আর তারপর আবার সেই পুরনো অভ্যাস ফিরে আসে। আমরা একটা জায়গায় সব সময় ভুল করি, যার জন্য আমরা আমাদের রেসোলিউশন মাঝ পথে বন্ধ করে দিতে হয়। আমরা আমাদের পুরনো অভ্যাস একবারে সব বন্ধ করে নতুন অভ্যাস শুরু করতে চাই। সেখানেই আমাদের সমস্যা হয়। আমরা আস্তে আস্তে যদি রেসোলিউশনগুলো মানতে পারি, সেক্ষেত্রে সারা বছর আমরা রেসোলিউশন মেনে চলতে পারি। কী কী ভালো অভ্যাস আমরা সহজেই নিজেদের মধ্যে আনতে পারি, তার একটা তালিকা রইল-
গ্র্যাটিটিউট জার্নাল- এক্ষেত্রে আমরা কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ডায়েরি লিখতে পারি। আমাদের কাছে যা আছে, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এই জার্নাল লিখতে পারি। গ্রাটিটিউট জার্নালের সব থেকে ভালো গুন হল, একটা আমাদের মনের অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে। তার সঙ্গে পরের দিনের রুটিন আগের রাতে লিখতে পারি। এতে আমাদের দিনটা অনেকটা নিয়মাবর্তিতার মধ্যে চলে।
ফ্যামিলি টাইম- কেরিয়ারের পিছনে ছুটতে ছুটতে আমরা পরিবারকে সময় দিতে ভুলে যাই। পরে আমরা সময় পাই না আফশোস করতে থাকি। আমরা পরিবারকে সময় দিয়েও কেরিয়ারের জন্য সময় বের করতে পারি। না হলে আমাদের আফশোস করতে হয়।
নিজের বাজেট তৈরি করা- প্রতি মাসের শুরুতে নিজেদের খরচের একটা তালিকা তৈরি করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এর ফলে আমাদের খরচ লিমিটের মধ্যে থাকে। মাঝে মাঝেই আবেগে আমাদের খরচ অনেকটা বেড়ে যায়। যার প্রভাব আমাদের সঞ্চয়ের ওপর পড়ে।
রান্না করা- রান্না করা এমন একটি বিষয় যেটা আমাদের মনকে ভালো রাখে। অবসাদ থেকে দূরে নিয়ে যায়। অনেকেই রান্না করতে পছন্দ করেন না। সেক্ষেত্রে তাঁরা সপ্তাহের এক দিন বিশেষ কোনও রান্নার চেষ্টা করতে পারেন। সেটা যখন অভ্যাস হয়ে যায়, তখন বোঝা যায় ডিপ্রেশন দূর করতে রান্না করার উপকারিতা অনেক।
বই পড়ার অভ্যাস- বই আমাদের মনকে বিকশিত করে। একদিকে আমরা যেমন অনেক কিছু জানতে পারি বইয়ের মাধ্যমে , তেমনি আমাদের অনেক সঙ্কীর্ণতা দূর হয়ে যায়। বই পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ধৈর্য বাড়ে। তার সঙ্গে বাড়ে মনসংযোগ।