নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রামকৃষ্ণ মঠ হল একটি সন্ন্যাসী সংঘ। ১৮৮৬ সালে রামকৃষ্ণ পরমহংস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রামকৃষ্ণ মঠ প্রধানত আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ ও সংঘের শিক্ষা প্রসারের জন্য কাজ করে। ১৮৯৭ সালে স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটি একটি জনকল্যাণমূলক সংগঠন। মূলত ভারতীয় জাতির প্রাণে নবপ্রেরণার জোয়ার এনে জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে ঈষ্বর জ্ঞানে মানব সেবার আদর্শ স্থাপনের জন্যই রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন। ধর্ম, সেবা ও শিক্ষা এই তিনটি মূল কর্মসূচি নিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের যাত্রা শুরু।
রামকৃষ্ণদেবের দেহত্যাগের পর কলকাতার বলরাম বসুর বাসভবনে আয়োজিত রামকৃষ্ণদেবের ভক্তদের এক অধিবেশনে স্বামীজি রামকৃষ্ণ মিশন অ্যাসোসিয়েশন গঠনের প্রস্তাব রাখেন। মিশন গঠনের প্রস্তাব ও নিয়মাবলীর খসড়া স্বামীজি নিজের হাতে তৈরি করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে মিশনের নথিভুক্ত হয় ১৯০৯ সালের ৪ মে, ব্রিটিশ সরকারের দপ্তরে।
১৯০৯ সালে আইনি স্বীকৃতি পায় রামকৃষ্ণ মঠ। এ মিশন ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে বিংশ শতাব্দী প্রথম দিক পর্যন্ত সময়ে সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মানবসেবার মাহাত্ন্য ঘোষণা, শিক্ষার্থীর জন্য অন্ন-বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা ও হিন্দুধর্ম প্রচার করা ছিল রামকৃষ্ণ মিশনের মূল কাজ।
রামকৃষ্ণ মিশনের প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন স্বামী ব্রহ্মানন্দ। হিন্দু ধর্ম ও ঐতিহ্যের আশ্রয়ে স্থাপিত হলেও এক মধ্যে মিলন ঘটেছে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য। ঈশ্বরে বিশ্বাস ও জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে মানবসেবা ও মানুষ তৈরির আদর্শ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই মিশনের উদ্দেশ্যগুলি ছিল। রামকৃষ্ণ মিশনে বেদান্তের আদর্শ অনুসরণ ও মূর্তিপুজো স্বীকৃত।