নিজস্ব সংবাদদাতা: উত্তরবঙ্গে AIIMS স্থাপনের দাবি দীর্ঘদিনের, এবং এটি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে বিধানসভা নির্বাচনের আগে। ২০১১ সাল থেকে এই প্রস্তাবিত হাসপাতালটি উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের একটি বড় অঙ্গ হিসেবে প্রতিশ্রুত হয়েছিল। তবে বাস্তবে, এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন যথেষ্ট ধীর গতিতে চলছে, যার কারণে স্থানীয় মানুষ এবং রাজনৈতিক দলের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। রাজনৈতিক দলগুলি, বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি, এই ইস্যুতে একে অপরকে দোষারোপ করছে। বিজেপি অভিযোগ করেছে যে তৃণমূল সরকার নির্বাচনী স্বার্থে AIIMS-এর প্রকল্পটিকে সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়েছে, এবং এই কারণে স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়নি।
প্রথমে ২০১৫ সালে, কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরবঙ্গে AIIMS প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের কার্যকরী অগ্রগতি খুব কম। প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্প হিসেবে ঘোষণা করা হলেও, প্রক্রিয়ার একাধিক ধাপের মধ্যে স্থানীয় প্রতিবন্ধকতা এবং প্রশাসনিক দেরির কারণে পরিকল্পনা অনেকটাই থমকে গেছে।
এই ইস্যু নির্বাচনের প্রাক্কালে আরও তীব্র হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য খাতে নিজেদের কাজের প্রশংসা করলেও, বিরোধীরা দাবি করছে যে AIIMS স্থাপনের কথা ছিল যে, তা এখনও অজানা কারণে পূর্ণ হয়নি। নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং অন্যান্য নেতারা এই ইস্যুকে জোরালোভাবে সামনে আনছেন, এবং তারা জানাচ্ছেন যে উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য AIIMS একটি অত্যন্ত জরুরি অবকাঠামো।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, আসন্ন নির্বাচনে এই ইস্যু কতটা রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করবে এবং জনগণের মতামত কীভাবে এর উপর প্রভাবিত হবে। এই ইস্যু উত্তপ্ত হওয়ার কারণে, AIIMS-এর ভবিষ্যৎ বাস্তবায়ন নিয়ে আরও আলোচনা হওয়া সম্ভব।