নিজস্ব সংবাদদাতা: মৌনী অমাবস্যায় 'অমৃত স্নান' (Amrit Snan) ঘিরে রক্তারক্তি কাণ্ড কুম্ভমেলা চত্বরে। রাত ১-১.৩০টার নাগাদ সঙ্গমঘাটের কাছে পদপিষ্ট হয়ে মারা গেছেন ৩০ জন, গুরুতর অবস্থায় জখম ৬০ জন (Prayagraj Stampede Deaths)। ওই ঘটনার কয়েকঘণ্টা বাদে কুম্ভমেলা চত্বরে আরও একটি পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনাও ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে সঙ্গমঘাটের দুই কিলোমিটার দূরে ঝুসিতে ভোরের দিকে পদপিষ্ট হন অনেকে। ঝুসি থেকেও সঙ্গমঘাটে স্নান করা যায়। তাই সেখানেও জমেছিল ভিড়। পরিস্থিতি অস্থির হয়ে উঠলে, সেখানেও মারা যান অনেকে। ঘটনাস্থলে জামাকাপড়, জুতো-চটি, জলের বোতলের স্তূপ জমা থাকতে দেখা যায়। পড়ে ট্রাক্টর নামিয়ে সরানোর দৃশ্যগুলি সামনে আসে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল সেই ভিডিও। প্রতিক্রিয়ায় মহাকুম্ভের ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণ জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের ফুটেজ ভালো করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকায় যে ক্যামেরা বসানো ছিল, তাতে বন্দি ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভোররাতেই স্নানকে ঘিরে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। পুলিশ ঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে না আসার কারণে বেঘোরে মারা যান বেশ কয়েক জন। মাটিতে লাশগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মৃত দেহ। প্রায় চার ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ছবি ও ভিডিও তুলতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, মহাকুম্ভে নিহতদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে যোগী সরকার। তবে একাধিক ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মৃতদের দেওয়া হয়নি ডেথ সার্টিফিকেট। নেই সরকারি কোনও নথি। তাই ক্ষতিপূরণ পাওয়া নিয়ে সংশয়ে মৃতদের পরিবার। অভিযোগ উঠেছে নিহতের সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর।