নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০২৩ সাল শেষ হতে চলেছে। নতুন বছর আসা এখন শুধু কয়েকদিনের অপেক্ষা। এই মুহূর্তে একবার ফিরে চলতি বছরের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনাগুলো দেখে নেওয়া যাক...
২০২৩ সালে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
রাজ্যের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা হল পঞ্চায়েত নির্বাচন। ২০২৩ সালের ৮ জুলাই রাজ্যের ২২টি জেলাতে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়। ১১ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল জয়ী হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক রাজনৈতিক অশান্তি হয় রাজ্য জুড়ে।
বিশ্বভারতীতে ফলক বিতর্কে রাজ্য রাজনৈতিক তরজা জোরদার হয়েছিল। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ফলক বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বসায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। সেই ফলকে ব্রাত্য ছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর। তার জায়গায় ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় রাজ্যের মানুষ। রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়। পরে শিক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশে সেই ফলক ভেঙে দেওয়া হয়।
রেশন দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে ২৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে গ্রেফতার হন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রায় ২১ ঘণ্টা তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির আধিকারিকরা ২৭ অক্টোবর ভোর ৩টে ২০ মিনিটে গ্রেফতার করে।
নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ৯ অক্টোবর ২০২৩ সালে ১০০০ দিনে পড়ে। ওই দিন দুই চাকরিপ্রার্থী মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ করেন। পুরুষ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ খালি গায়ে প্রতিবাদ করেন। তাঁদের দাবি অবিলম্বে নিয়োগপত্র দিতে হবে।
২০২৩ সালে ভারতে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক খবর
ভারতে চলতি বছর জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর জি ২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নয়াদিল্লিতে জি-২০ সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা আসেন। বৈঠকে ভারতের ভূয়শী প্রশংসা করা হয়।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধিরা একটি জোট তৈরি করেছেন। নাম দেওয়া হয়েছে, Indian National Developmental Inclusive Alliance বা ইন্ডিয়া জোট। এই রাজনৈতিক দলের মূল উদ্দেশ্য বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের পতন ঘটানো।
চলতি বছর পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হয়। তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও মিজোরামে বিধানসভা নির্বাচন হয়। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে বিজেপি জয় পায়। অন্যদিকে, তেলেঙ্গানায় জয় পায় কংগ্রেস ও মিজোরামে জয় পায় ZPM।
চলতি বছরের ডিসেম্বরেই TMC সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। যার জেরে দেশের রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেছিলেন, মহুয়া মৈত্র টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন। মহুয়া মৈত্রের বন্ধু তথা আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই নিশিকান্ত দুবের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগ নিশিকান্ত দুবে প্রকাশ্যে আনেন।
কংগ্রেসের রাজ্য সভার সাংসদ ধীরজ সাহুর অফিস থেকে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের একাধিক জায়গায় আয়কর দফতরের হানায় ধীরজ সাহুর অফিস থেকে নগদ ৩৫০ কোটির বেশি টাকা উদ্ধার হয়। আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এত বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা আগে উদ্ধার হয়নি।