২০২৪ এর চারটি ভবিষ্যৎ সংকেত: প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক পরিবর্তনের দিকে নজর

২০২৪-এর নতুন প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অ্যান্টি-এজিং প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ বিশ্লেষণ করুন, যা আমাদের জীবনের চেহারা বদলে ফেলবে।

author-image
Debapriya Sarkar
New Update
Technology

নিজস্ব সংবাদদাতা : এই বছরটি যেমন শেষের দিকে চলে যাচ্ছে, তেমনই সামনে আসছে নতুন বছরের সংকেত। ২০২৪ সালে যে প্রযুক্তি, সামাজিক ও স্বাস্থ্য পরিবর্তনের বড় বড় সংকেত দেখা যাচ্ছে, তার মধ্যে কিছু আকর্ষণীয় এবং অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে চারটি বিষয়, যা আপনাকে ভাবাতে বাধ্য করবে:

publive-image

১. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং এর অন্ধকার দিক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রগতি যেমন উন্নতি করছে, তেমনি এর অন্ধকার দিকও প্রকাশ পাচ্ছে। সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের O2 মোবাইল প্রদানকারী একটি "AI গ্র্যানি" তৈরি করেছে, যার কাজ হল ফোনে স্ক্যামারদের দীর্ঘ সময় ধরে আটকে রাখা। কিন্তু এই প্রযুক্তির সুবিধার পাশাপাশি, এর ভয়াবহ পরিণতি এবং অবাঞ্ছিত ফলাফলের সম্ভাবনা সম্পর্কে চিন্তা করা খুব জরুরি। অ্যাপলসহ অন্যান্য কোম্পানি তাদের AI প্রযুক্তি প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করছে, যা আগামী বছরের প্রযুক্তিগত প্রবণতাগুলির জন্য একটি আকর্ষণীয় বিষয় হতে পারে।

publive-image

২. "ব্রেন-রিডিং" হেডফোন: তিনটি প্রযুক্তি সংস্থা, Neurable এবং Master & Dynamic, মস্তিষ্কের তরঙ্গ পড়ার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। তাদের হেডফোনগুলি কাজ করার সময় আপনার মনোযোগ কমে গেলে তা শনাক্ত করে এবং একটি বিরতি নেওয়ার পরামর্শ দেয়, বা প্রাসঙ্গিক একটি প্লেলিস্ট বাজিয়ে দেয়। এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা ভবিষ্যতের কাজের জন্য বিপ্লবী হতে পারে, তবে এটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং অধিকার ইস্যু তৈরি করতে পারে।

publive-image

৩. অ্যান্টি-এজিং এবং মৃত্যুকে অস্বীকার করা: বিলিয়নিয়ার ব্রায়ান জনসন সম্প্রতি একটি এন্টি-এজিং ইভেন্টের আয়োজন করেছেন, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা বড়ি এবং ডায়েটের মাধ্যমে জীবনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছেন। এ ধরনের পরিপূর্ণ অ্যান্টি-এজিং প্রক্রিয়া, যা শুধু শারীরিক চাহিদার প্রতিক্রিয়া নয়, বরং একটি বৃহত্তর সাংস্কৃতিক আন্দোলন সৃষ্টি করছে, আমাদের জীবনের অস্থায়ীতা সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করতে বাধ্য করছে।

৪. ভবিষ্যৎ নারী উদ্যোগ: বিলিয়নিয়রদের মধ্যে কিছু নারী উদ্যোক্তা এই বছরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক প্রকল্পের দিকে। তাদের লক্ষ্য সামাজিক চাহিদা পূরণ করা, যেখানে সরকার তেমন সহায়তা দেয় না। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বিলিয়নিয়ারের অর্থায়ন দেখে সামাজিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা বেড়েছে।

এই চারটি সংকেত ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক পরিবর্তনের গতিপথে একটি বিপ্লবী পরিবর্তনের লক্ষণ।