রাজনীতি ছাড়তে চাইছেন রায়গঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণকল্যাণী

এবার রাজনীতি ছাড়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করলেন রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক, কৃষ্ণ কল্যাণী সরকার। উত্তর দিনাজপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্যের কারণেই রাজনীতি ছাড়তে চাইছেন।

author-image
Sharmila Chandra
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Krishna Kalyani

নিজস্ব সংবাদদাতা : এবার রাজনীতি ছাড়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করলেন রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক, কৃষ্ণ কল্যাণী সরকার। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে, তিনি জানান, একজন নির্বাচিত বিধায়ক হিসাবে তার আওতাধীন এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে উত্তর দিনাজপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্যের কারণেই রাজনীতি ছাড়তে চাইছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, আমি কৃষ্ণ কল্যাণী, একজন জনপ্রতিনিধি। জেলাশাসক হলেন জনগণের সেবক। যদি পরিস্থিতি না বদলায় তাহলে আমি রাজনীতি ছাড়তে বাধ্য হব। আমি কোনও দলের হয়ে আর কাজ করব না। আমি স্বাধীন ভাবে মানুষের পাশে থেকে তাঁদের সাহায্য করতে চাই। তাঁর এই পোস্টকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে জল্পনা।

উল্লেখ্য, ২০২১-এর রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন কৃষ্ণকল্যাণী। এরপরে ওই বছরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে রায়গঞ্জের বিধায়ক হিসাবে নিজের চেয়ার ধরে রেখেছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস তাকে রায়গঞ্জ লোকসভা থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করেছিল, ফলে তাঁকে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছিল।, লোকসভা নির্বাচনে, বিজেপির কার্তিক চন্দ্র পলের কাছে ৬৮,০০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল কৃষ্ণকল্যাণী। এরপরে তৃণমূল কংগ্রেস তাকে শুধুমাত্র রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য মনোনীত করে যেখানে তিনি ৫০,০০০ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন। উল্লেখ্য, গত মাসেই পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন কৃষ্ণকল্যাণী। আর এবার সরাসরি রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ারই হুঁশিয়ারি দিলেন রায়গঞ্জের এই তৃণমূল বিধায়ক। উত্তর দিনাজপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরেই কৃষ্ণকল্যাণীর এই সিদ্ধান্ত নাকি এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।