নিজস্ব সংবাদদাতা: ঠাকুরপুকুর ইএসআই হাসপাতালের বিল্ডিং থেকে নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা এক যুবকের। হাসপাতালের ওপর তলা থেকে এই আত্মহত্যার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। খবর পেয়ে ছুটে যায় ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে বুধবার ঠাকুরপুকুর ইএসআই হাসপাতালের বিল্ডিং এর চারতলা থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন পায় পুলিশ, পরে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশের অনুমান মৃত ব্যক্তির বাড়ি দক্ষিণ কলকাতার বেহালা রায়বাহাদুর রোডে। প্রথমে ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা না গেলেও পরে জানা যায় তার নাম রৌনক ভট্ট। তার বয়স ২৯ বছর।
ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। মোবাইল থেকে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন ওই যুবক। কিভাবেই বা এসেছিলেন তিনি হাসপাতালে, সেই সবই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এই মৃত্যুর ব্যাপারে তার পরিবারের তরফ থেকে কিছু জানা না গেলেও প্রতিবেশীদের দাবি দীর্ঘদিন মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন রৌনক। কি থেকে হয়েছিল এই অবসাদ?
ভালো পড়াশোনা করতেন রৌনক। মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি! কিন্তু দীর্ঘদিন কোন চাকরি পাচ্ছিলেন না! এই না পাওয়া কুরে কুরে খাচ্ছিল তাকে! সেই কারণেই এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি বলে অনুমান তার প্রতিবেশীদের!
বেশ কয়েকটি চাকরির পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে পারেননি তিনি। তবে মৃত্যুর পিছনে অবসাদ আসল কারণ নাকি রয়েছে অন্য কোন রহস্য তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও কিভাবে ওই হাসপাতালে এসেছিলেন মৃত ব্যক্তি তা জানতে পারেনি পুলিশ।