'ED ডাকবে...'! নুসরতের কোটি কোটি টাকার দুর্নীতিতে মুখ খুললেন স্বামী

'৩০০ শতাংশ বলতে পারি দুর্নীতির সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নই', সাংবাদিক বৈঠক করে ফ্ল্যাট দুর্নীতিকে ঘিরে ওঠা অভিযোগ সোজা খারিজ করে দেন নুসরত। এবার পাশে দাঁড়ালেন স্বামী।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
nusratyash

নিজস্ব সংবাদদাতা: বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা চলছে। কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে এই মুহূর্তে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে এই সাংসদ এবং অভিনেত্রী। শুভেন্দু অধিকারী থেকে শঙ্কুদেব পাণ্ডা, বিরোধী শিবিরের অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলছেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, 'প্রমাণের আগেই নুসরত জাহানকে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে'। এবার স্ত্রী নুসরতের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন স্বামী যশ দাশগুপ্ত। নুসরত জাহান এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সাফ জানান, 'ঋণের টাকায় ফ্ল্যাট কেনা'। যদিও যে সংস্থা থেকে লোন নেওয়ার দাবি করেছিলেন সাংসদ-নায়িকা, সেখানকার ডিরেক্টরের গলায় আবার এর উলটো সুর। তিনি দাবি করেন 'কোনও ধার দিইনি'। দুই তরফে দুরকম মন্তব্য শুনে যখন জল্পনা তুঙ্গে, ঠিক সেইসময়েই মুখ খুললেন স্বামী যশ দাশগুপ্ত। বলেন, 'কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন'। এদিকে বিরোধী দলের নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা ইতিমধ্যেই কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে ইডির দ্বারস্থ হন। তাই ইডি তলব করলে নুসরত যাবেন কিনা সেই প্রসঙ্গে সাংসদ-অভিনেত্রীর দাবি, ED তাঁকে ডাকবে না। 

সাংবাদিক বৈঠকে মিডিয়া ট্রায়াল নিয়ে বড় অভিযোগ তুলেছিলেন নুসরত। মাঝপথেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়েও যান তিনি। নায়িকা বলেছিলেন যে বেশ কিছু মিডিয়াতে নাকি দেখানো হয়েছে মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থাটি তাঁর মালিকানাধীন। তৃণমূল সাংসদের দাবি, '২০১৭ সালের জুলাই মাসে আমি সেই সংস্থা ছেড়ে দিয়েছি'। তিনি লোন নিয়েছিলেন কোম্পানি থেকে সেটা স্বীকার করেছেন যদিও। এর মধ্যেই আবার তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান এবং বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট দুর্নীতি নিয়ে প্রাথমিক তদন্তে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। আলিপুর আদালতের নির্দেশে তদন্ত করে আদালতে এমনই রিপোর্ট পেশ করেছে কলকাতা পুলিশ। জানা গেছে যে রাজারহাটে জমি কিনে ফ্ল্যাট বানাতে 'সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড' নামক এক সংস্থা ২০১৪-২০১৫ সালে ৪২৯ জনের থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা নিয়েছে। আলিপুর আদালতে অভিযোগকারীরা গেলে ২০২২ সালের ২২শে ডিসেম্বর কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইমকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেন আলিপুর আদালতের ষষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুস্তাক আলম।