নিজস্ব প্রতিবেদন : আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে টালিগঞ্জের করুণাময়ীতে একটি মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না শূরের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে শিশু ও মহিলাদেরও মারধরের শিকার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতিবাদকারীরা।
কোচবিহারের মাথাভাঙায় 'রাত দখলে' হামলার অভিযোগে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে, যেখানে শিল্পীরা রাস্তায় আলপনা আঁকার সময় তাঁদের কাজ মুছে দেওয়া হয় এবং হামলার শিকার হন। আন্দোলনকারীরা নিরস্ত্র ছিলেন এবং তাঁদের হাতে কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা বা স্লোগানও ছিল না। এর আগে ৪ অগাস্টের রাত দখল কর্মসূচিতেও একই ধরনের হামলার অভিযোগ উঠেছিল, যেখানে তৃণমূলের শহর ব্লক সভাপতির সামনে আন্দোলনকারীদের মারধর করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী নেতৃত্বে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়, এবং তিনি তৃণমূলকে সতর্ক করে বলেন, পুলিশ না থাকলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সময় লাগবে না।
আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চেয়ে চলছে প্রতিবাদ। এর মধ্যেই হামলার অভিযোগও সামনে আসছে। সম্প্রতি কাঁথির পোস্ট অফিস মোড়ে এক মহিলা প্রতিবাদীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদের সময়, মহিলা হাতে লেখা পোস্টার গলায় ঝুলিয়ে একা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন, তখন তাঁর ওপর হামলা হয়। অভিযোগ রয়েছে, হামলাকারীরা মহিলার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি কর্মীরা পোস্ট অফিস মোড় অবরোধ করেন। পরে এসডিপিও দিবাকর দাসের নেতৃত্বে কাঁথি থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, কাঁথিতে আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে এক মহিলা পোস্টার হাতে একাই পোস্ট অফিস মোড়ে বসে ছিলেন। ওই সময় পাশের চশমার দোকানদার মাহেফুজ আলম হঠাৎ করে মহিলার পোস্টার টেনে ছিঁড়ে দেন এবং মারধর করেন। মাহফুজের সঙ্গে আরও এক দুষ্কৃতী ছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে মহিলা রাস্তায় বসে পথ অবরোধ শুরু করেন এবং দাবি করেন যে, আরজিকর কাণ্ডের দোষীদের আড়াল করার জন্য তাঁকে হামলা করা হয়েছে। এর পরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাঁথিতে, এবং প্রতিবাদকারীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়।