নিজস্ব সংবাদদাতা: আমরণ অনশনে ক্রমশ অবনতি হচ্ছে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থা। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনিকেত মাহাতো। আর এরই মধ্যে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে দিলেন কুণাল ঘোষ।
এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল লেখেন, “রাজনৈতিক অনশন তুলে নিন ডাক্তাররা। তখন বন্দি অবস্থায় আমার লড়াই। সরকার ও শাসকদলের একাংশের বিরুদ্ধে। দল না ছেড়েও লড়া যায়, এই উদাহরণ পাবেন না। সে যাক, দুটো কথা বলার।
এক, বারবার অনশন করেছি। একবার দীর্ঘ। সিসিক্যামেরা, জেলরক্ষী, অফিসারদের কড়া নজরদারিতে। কখনও জল খেয়ে, কখনও না খেয়ে। বারো দিন পর্যন্ত জেলে মর্নিং ওয়াকে মাঠ ঘুরতে পেরেছিলাম। তারপর আর পারিনি। দালানে আমার হাঁটার জায়গাতেও সিসি ক্যাম লাগানো হয়েছিল। নানাভাবে প্রলোভন, চাপ, প্রতিশ্রুতি, বাইরে ভুল খবর খাইয়েও আমাকে নড়াতে পারেনি। সিস্টেমের বিরুদ্ধে জেলের মধ্যে একা টেনেছি অনশন। শরীর দুর্বলতম হয়ে গিয়েছিল। পিজি থেকে আসা ডাক্তারদের সেযাত্রা ছুঁতে দিইনি। বন্ধুদের ঘেরাটোপ ছিল না।
দুই, একবার নোটিস দিয়ে বলে বলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলাম। দাবি সামনে রেখে। নজরদারি করেও ঠেকাতে পারেনি। তখন কত কটাক্ষ, রসিকতা। এখন এই মামলায় কোর্টের রায়, হ্যাঁ, আমি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলাম। তবে মানবিকভাবে কোর্ট শাস্তি দেননি। ঐতিহাসিক অর্ডার।
এসব বললাম এই কারণে, যে, জীবনের ঘটনাচক্রে অনশন সংক্রান্ত পদক্ষেপের অভিজ্ঞতা আছে। অন্যায় করিনি বলেই একা বন্দিজীবনে এসব করতাম। কোনটা, কেন, কতদূর, কী হতে পারে, এসব অনুমান করা যায়।
তবু, অনশনকারীদের বলব, তুলে নিন। অকারণ রাজনীতি করবেন না। আরও সাত আট দিন জল খেয়ে চলে যাবে, কিন্তু শরীরকে চাপ দেবেন না। সিবিআই তদন্ত চলছে, একটি চার্জশিটও হয়েছে। মামলা দেখছে সুপ্রিম কোর্ট। এখন কীসের অনশন? কয়েকজনের রাজনীতির জন্য শরীরকে চাপ দেবেন না। অনশন তুলে নিন”।