নিজস্ব সংবাদদাতা: লোকসভার এথিক্স কমিটিতে টাকার বদলে প্রশ্ন বিতর্কের শুনানি ঘিরে বিতর্ক এখনও চলছে। ইতিমধ্যেই এথিক্স কমিটি মহুয়া ও দুই অভিযোগকারীর বক্তব্য জেনেছে। মাঝপথেই সেখান থেকে বেরিয়ে এসে অনৈতিক, ব্যক্তিগত এবং অশালীন প্রশ্ন করার অভিযোগ তোলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে যে যদি মহুয়া 'দোষী' প্রমাণিত হন তাহলে তাঁর কী শাস্তি হতে পারে?
ঠিক কী অভিযোগ উঠছে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে? তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে সংসদে প্রশ্ন করার জন্য ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি। দর্শনের 'প্রতিদ্বন্দ্বী' ব্যবসায়ীকে 'টার্গেট' করতেই নাকি চেয়েছিলেন মহুয়া। পাশাপাশি অভিযোগ, মহুয়া সাংসদ হিসেবে লগ ইন করার পাসওয়ার্ডও শেয়ার করেছিলেন হীরানন্দানিকে। ইতিমধ্যেই মহুয়া স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনি পাসওয়ার্ড শেয়ার করেছেন যাতে হীরানন্দানি সরাসরি লোকসভার পোর্টাল থেকে প্রশ্ন তুলতে পারেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার সব অভিযোগ তিনি অস্বীকার করে যাচ্ছেন। ১৯৯৭ সালে প্রথম এথিক্স কমিটি তৈরি হওয়ার পর স্থায়ী এথিক্স কমিটি তৈরি হয় মোদি সরকারের আমলে ২০১৫ সালে। ২০০৫ সালে প্রথমবার অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগ ওঠে ১১ জন সাংসদের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে লোকসভার সাংসদ ১০ জন ও রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন ১ জন। সকলেরই সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায় তখন।
যদি কৃষ্ণনগরের সাংসদের মহুয়া দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে স্পিকারকে সেই তথ্য দেবে কমিটি। সেক্ষেত্রে মহুয়ার ভবিষ্যত্ নির্ধারণ করবে লোকসভার ভোটাভুটি। যেহেতু লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ স্থানে আছে এনডিএ, তাই মহুয়ার সাংসদ পদ বাতিলের সম্ভাবনা বেশ ভালোই আছে। তবে এই সম্ভাবনাও রয়েছে যে, হয়তো সাংসদ পদ বাতিল করা হবে না কিন্তু মহুয়াকে আর লোকসভায় প্রশ্ন করতে দেওয়া হবে না বা দুটি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হল তাঁকে। পুরো বিষয়টা নিয়েই ধোঁয়াশা কাটছে না। তবে যেহেতু লোকসভা নির্বাচনের হবে খুব তাড়াতাড়ি তাই দোষী সাব্যস্ত হলেও বড় সমস্যায় পড়বেন না মহুয়া। তবে এই বিতর্কের পরে তৃণমূল কংগ্রেস পরের নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেবে কিনা সেটাও একটা ভাবার বিষয়। সম্প্রতি এথিক্স কমিটির বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন মহুয়া এবং বিরোধী সাংসদরা। এক মহিলাকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে অপমান করার অভিযোগ করতে থাকেন বাকি সাংসদরা।