নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আরজি কর কাণ্ডে বড় দাবী করে দিলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, পুলিশ হিসেবে নয়, সন্দেহভাজন হিসেবেই অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছেন যে, আরজি করের ঘটনার দিন বেশ কিছু গুরত্বপূর্ণ তথ্য লোপাট করেছেন বলেও মনে করা হচ্ছে।
সিবিআইয়ের আইনজীবী আজ কোর্টে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তারা দাবী করেছেন যে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে। তারা আরও দাবী করেন যে, সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই প্রাক্তন ওসি তথ্যপ্রমাণ লোপাটের কাজ করেছেন।
এছাড়াও, সিবিআই জানিয়েছে যে, এই ঘটনার পিছনে এক বিশাল চক্রান্ত রয়েছে এবং এর পিছনে কেউ জড়িত আছেন কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তারা আরও বলেন যে, সিবিআই এবং পুলিশের মধ্যে কোনও আঁতাত নেই। প্রাক্তন ওসিকে এক সন্দেহভাজন এবং ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তীকালে তাকে তারা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলেও জানা গিয়েছে। এই নিয়ে তারা তিন দিনের জন্য তাকে তাদের হেফাজতে নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, টালা থানার প্রাক্তন ওসিকে তথ্য প্রমাণ লোপাট, নিহতের মৃত্যুর সময় নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়া, দেরিত এফআইআর দায়ের, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের সংযোগকে লোপাট করা প্রভৃতির অভিযোগে গতকালই গ্রেফতার করা হয়েছে। এই প্রথম ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতারির ঘটনা ঘটল।
এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, আজ সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে শিয়ালদহ কোর্টে পেশ করা হয়েছিল।