যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর রাতে সাধারণ সভার একাধিক বৈঠক! উত্তর মিলবে কবে?

যাদবপুরে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে তদন্তকে কেন্দ্র করে। এ যাবৎ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ যাদের কাছ থেকে নানা তথ্য টেনে বার করার চেষ্টা চলছে।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
swapnakundu

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থাৎ আজ বুধবার এল না ইউজিসির প্রতিনিধিদল। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই প্রতিনিধিদলের আসার কথা ছিল। এই ঘটনা নিয়ে ইউজিসি যে চার দফা প্রশ্নের উত্তর চায়, তা সোমবার কর্তৃপক্ষ পাঠিয়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্র সংসদ (আফসু) জানিয়েছে যে ওই পড়ুয়ার মৃত্যুর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত তারা অবস্থান বিক্ষোভ করবে। আফসু এসএফআই নেতৃত্বাধীন সংগঠন। তারা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অন্তর্বর্তী তদন্ত কমিটির রিপোর্টের দাবিও করে। সোমবার রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছিলেন যে আগে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশের কথা থাকলেও পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তা প্রকাশের চেষ্টা করছেন তাঁরা। মঙ্গলবার তিনি বলেন যে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এ দিকে পুলিশের দাবি, মেন হস্টেলে ঘটনার রাতে একাধিকবার সাধারণ সভা বা জেনারেল বডির বৈঠক হয়। ওই রাতে কেন হঠাৎ জিবি হল? তদন্তকারীদের কাছে পড়ুয়াদের বেশিরভাগ উত্তর দিয়েছে যে ১৫ অগস্টের ফুটবল ম্যাচ নিয়ে জিবি করা হয়েছে। হস্টেলের আবাসিকদেরও বেশিরভাগ একই দাবি করছে। তদন্তে পুলিশ অবশ্য জানতে পেরেছে যে জিবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভসহ ও বাকি দুই অভিযুক্ত উপস্থিত ছিল। পুলিশ বলছে যে ঘটনার আগে মেস কমিটির জিবি হয়। সেখানে ওই পড়ুয়ার অস্বাভাবিক আচরণের খবর পৌঁছলে এক সিনিয়র তিনতলায় পৌঁছে তার কাউন্সেলিংয়ের চেষ্টা করে। কিন্তু ঘটনার পর কেন জিবি হয়েছে, সেটা পরিষ্কার নয়। তা হলে কি পুলিশি তদন্তে কী বলতে হবে, তাই ঠিক করতেই বৈঠক করল তারা? উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশের দাবি, ওই দিন ঘটনার পর যা হয়েছে তার সব কিছুই পরিকল্পনা মাফিক করা হয়েছে। কী কী করতে হবে, কী বলতে হবে তার জন্য আবাসিকদের নির্দেশ দেওয়া হয় ফোনে। সেই নির্দেশে কে দিয়েছিল, তার খোঁজ করছে পুলিশ। পাশাপাশি সেই জিবিতে উপস্থিত এখনও বেশ কয়েকজনের খোঁজ পাচ্ছে না পুলিশ। তাদের সঙ্গেও কথা বলতে চাইছেন তদন্তকারীরা। একই সঙ্গে ধৃত ৩ জনের মোবাইল ফোন ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেখান থেকে কিছু তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।