নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার তার পদ থেকে পদত্যাগ করার বিষয়ে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, "জহর সরকার তার চিঠিতে ব্যাখ্যা করেছেন কেন তিনি পদত্যাগ করেছেন। জহর সরকার যখন রাজনীতিতে আসেন, তখন তিনি জানতে পারেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতির রানী হয়ে ওঠেন। তাই এসব দেখে তিনি মনে করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত।"
প্রসঙ্গত, জহর সরকার চিঠিতে লেখেন, “মাননীয়া মহোদয়া, বিশ্বাস করুন এই মুহূর্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ও রাগের বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখছি, এর মূল কারণ কতিপয় পছন্দের আমলা, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশীশক্তির আস্ফালন।” তিনি আরও লিখেছেন, “সরকারের কোনও বক্তব্যকেই মানুষ বিশ্বাস করছে না। পুরনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কেন ঝাঁপিয়ে পড়ে কথা বলছেন না।”
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে বলেন, “জহর সরকার একজন মোদী বিরোধী মানুষ হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। কিন্তু তাঁর কর্মদক্ষতা নিয়ে কেউ কোনওদিন প্রশ্ন তোলেনি। সম্পূর্ণ বিরোধী রাজনৈতিক অবস্থানে থেকেও বলতে পারি, রাজ্যসভা থেকে জহর সরকারের ইস্তফা, ভারতীয় রাজনীতির বড় ক্ষতি।”
প্রসঙ্গত, আরজি কর ইস্যুতে আগে সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় মন্তব্য করেছিলেন। তিনি নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশ প্রমাণ লোপাট করে দিয়েছে। সেই কারণে সিবিআইয়ের তদন্ত করতে অসুবিধা হচ্ছে। সাংসদ শান্তনু সেনও আরজি কর ইস্যুতে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন। যার জেরে তাঁকে দলের কোপের মুখে পড়তে হয়েছে। এবার আরজি কর ইস্যুতে রাজ্যসভার সাংসদ ইস্তফা দিলেন জহর সরকার। তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। জহর সরকার মাত্র তিন বছর আগে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন।