নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যের সরকারি অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বার্তায় ‘শুভনন্দন’ শব্দটি ব্যবহার হয়। সেই শব্দ ব্যবহার করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় প্রত্যেক অনুষ্ঠানের শেষেই তাঁর মুখে শোনা যায় ‘শুভনন্দন’ শব্দটি। এই ‘অভিনন্দন’ শব্দ বদলে ‘শুভনন্দন’ বলার জন্যে বহু বিতর্কের মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। রাজ্যের বিরোধীরা বিভিন্ন সময়ে এই বিষয়ে তির্যক খোঁচাও দিয়েছেন। কিন্তু সেই বিষয়ে কান দেয়নি নবান্ন। এক নববর্ষের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সকলকে শুভেচ্ছা জানাতে এই শব্দ ব্যবহার করেছিলেন।
কিন্তু কেন এই শব্দ বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? এবার এতোদিনে গিয়ে সেই সত্য খোলসা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ধনধান্য স্টেডিয়ামে ‘ছাত্রসপ্তাহ’ সমাবেশের সমাপ্তি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে রাজ্যের মন্ত্রী, সাংসদ থেকে সরকারি আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরের মতই ছিলেন মধ্যমণি। একাধিক বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময় এই প্রসঙ্গ নিজেই উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ছাত্রসপ্তাহের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেছিলেন, এটি সমাপনী অনুষ্ঠান।
সেই কথাকে ধরেই ‘শুভনন্দন’ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সমাপ্তি অনুষ্ঠানে মুখ্যসচিব যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, একটা শব্দ কানে এল আমার। উনি বললেন, এটা সমাপনী অনুষ্ঠান। ‘সমাপনী’ কিন্তু ভুল শব্দ নয়। এটা একটা নতুন শব্দ। যেহেতু নতুন শব্দ, তাই সঙ্গে সঙ্গে কানে এসেছে”। তারপরই তিনি এর রেশ টেনে বলেন, “আমি যেমন অভিনন্দনের জায়গায় শুভনন্দন বললাম। শুভনন্দন বলাই যায়। অসুবিধের কিছু নেই। ভাষা তো বিস্তৃত হয়। ভাষার বিস্তার রয়েছে অনেক। এভাবেই তাই অভিনন্দন জানাই সকলকে”।
এদিন অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। ছোটদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত তাঁদের মতো করে মিশে যান। এদিনও তাঁর অন্যথা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন নিজের ছোটবেলা নিয়ে কথা বলেন ছাত্রছাত্রীদের সাথে। তাঁদেরকে গল্প করে বলেন নিজের ছোটবেলার কথা। তিনি কীভাবে বড় হয়েছেন সেই সব বিষয়। তবে এই সবের মাঝে তাঁর ‘শুভনন্দন’ শব্দের ব্যাখ্যা মন কেড়েছে অনেকের।