নিজস্ব সংবাদদাতা: স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে ধরনা তুলে নিয়েছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। তুলে নিয়েছেন ৪২ দিনের আংশিক কর্মবিরতিও। বিচারের দাবিতে অনড় থেকেই আংশিক কাজে ফিরেছেন তারা। জেলায় জেলায় জরুরি বিভাগে যোগদান করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। আবারও ছন্দে ফিরেছে আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
অনেকে বলছেন জুনিয়র ডাক্তাররা যা করেছেন ইদানিংকালে কোন বিরোধী রাজনৈতিক দল নাকি তা করে দেখাতে পারেননি। যদিও কোনরকম রাজনৈতিক ব্যানারের সংস্পর্শে না থেকেই গর্জে উঠেছিলেন তারা। আন্দোলনে যে অনেকটাই সফল হয়েছেন তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু এর জন্যে কি ভয় পেয়েছে প্রশাসন? এই জন আন্দোলনে কি কোথাও গিয়ে প্রশাসনও ঘাবড়ে গিয়েছে? কেন এই প্রশ্ন? কেননা স্বাস্থ্যভবন থেকে ধর্না কর্মসূচী তুলে নিতেই সেই রাস্তা ঢেকে দিল আলকাতরা!
আরও ভালো করে বলতে গেলে বলা যায়, আজ সকাল থেকেই স্বাস্থ্যভবনের সামনের রাস্তা, যেখানে প্রতিবাদী স্লোগান লিখে দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা, সেই রাস্তা আলকাতরা দিয়ে আবার নতুন করে ঢাকা হয়েছে। আসলে সেই সব লেখা মুখে দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসকদের লেখা স্লোগান মুছে দেওয়ার কাজ হয়ে গেল আজ সাতসকালেই। ফুটপাতে রাস্তায় আন্দোলনকারীদের লেখা স্লোগান মুছে দিতে আলকাতরা ছোঁপ দেওয়া হয়েছে। ধরা পড়েছে লাল সাদা স্লোগানের উপরে কালো কালো ছোপ। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে রাস্তায় যেখানে লেখা ছিল উই ওয়ান্ট জাস্টিস, সেখানেই কালো আলকাতরার প্রলেপ পড়েছে।
প্রতিবাদের ভাষায় এভাবেই পড়েছে কালী। স্বাস্থ্য ভবনের দেওয়াল নতুন করে রং করা হয়েছে এছাড়াও গোটা রাস্তায় যেখানে স্লোগান ছিল সেখানেই কালো রঙ দিয়ে মুছে দেওয়া হয়েছে প্রতিবাদের ভাষা। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকেরা বলছেন, যে স্লোগান, যে প্রতিবাদ মানুষের মনে লেখা হয়ে গেছে, সেই লেখা মুছে দিয়েও কি কোনও লাভ হল? মানুষের মনে লেখা আছে যে স্লোগান, তা মুছবেন কি করে!