নিজস্ব সংবাদদাতা: জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে ১২ ঘন্টার প্রতীকী অনশনে বসলেন বেথুন কলেজের প্রাক্তনীরা। কারও বয়স ৭০, কারও বয়স ৮৩, তো কেউ আবার ৪৫। বেথুনের নানা বয়সের প্রাক্তনী এই কর্মসূচীতে যোগ দিয়েছেন। বাকিদেরও পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তারা। বেথুন কলেজের সামনে ফুটপাথে চেয়ার পেতে বসে পড়েছেন প্রাক্তনীরা।
আরজি করের ঘটনায় বিচার চেয়ে ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। প্রথম ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার অনশন শুরু করেন। পরে রবিবার রাতে যোগ দেন আরজি করের অনিকেত মাহাতোও। বুধবার তাঁদের অনশনের পঞ্চম দিন। আর তাঁদের এই অবস্থা দেখে কার্যত চিন্তিত বেথুন কলেজের প্রাক্তনীরা। তাই বয়স জনিত শারীরিক সমস্যাকে দূরে সরিয়ে তারাও পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের।
বেথুন কলেজের প্রাক্তনীদের সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এবং অনশনের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারাও অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তারা প্রতীকী অনশন করবেন। বুধবার ষষ্ঠীর দিন সকাল থেকে তারা অনশনে বসেছেন। চলবে ১২ ঘন্টা।
এদিন বেথুন কলেজের এক প্রাক্তনী বলেন, “আমার বয়স ৭০। আমি ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে গিয়েছিলেন। ওঁদের অবস্থা চোখে দেখা যাচ্ছে না। এভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ওরা আন্দোলন করছে। আমরাও বিবেকের তাড়না অনুভব করেছি”।
এদিনের প্রতীকী অনশনের থেকে বেথুন কলেজের প্রাক্তনীরা চেয়েছেন অন্যান্য কলেজের পড়ুয়া, প্রাক্তনীরা এগিয়ে আসুক, আর এই জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়াক।