নিজস্ব সংবাদদাতা: আরজি করে নির্যাতিতাদের বিচার সহ আরও ১০ দফা দাবি নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন করছেন দুই মাসের বেশি সময় ধরে। তাঁরা বার বার থ্রেট কালচারের অভিযোগ করেছেন। সেই থ্রেট কালাচারের অভিযুক্ত জুনিয়র চিকিৎসকরা এবার পাল্টা একটি সংগঠন করলেন। সেই সংগঠনের নাম দেওয়া হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয় চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার এই সংগঠনের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। আর তারপরেই এই সংগঠনের একধিক সদস্যের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
এই সংগঠনের সদস্যদের কারও ছবি সন্দীপ ঘোষ ও অভীক দে-র সঙ্গে। তো কারও আবার ধৃত আশিস পাণ্ডের সঙ্গে। জুনিয়র ডাক্তারদের নতুন সংগঠন আত্মপ্রকাশ করার পরই, তাদের সদস্যদের বিভিন্ন ছবি ঘিরে দেখা দিয়েছে নতুন বিতর্ক। যাদের সঙ্গে ছবি দেখা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তিনি এখন জেলে। অন্যদিকে, সিবিআই আশিস পাণ্ডেকেও গ্রেফতার করেছে। অন্যদিকে, অভীক দের সঙ্গে ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেই অভীক দে-র বিরুদ্ধে খোদ স্বাস্থ্য দফতর একাধিক দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। প্রমাণ পেয়েছে থ্রেট কালচারের।
অন্যদিকে, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন শ্রীশ চক্রবর্তী বলেন, আমাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের পর আমরা বলেছিলাম, আমরা আন্দোলন নয় রোগী পরিষেবা দেব। তখন আমাদের বহিষ্কার করে কলেজে ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে আবার আমরা ডিউটিতে যোগ দিই। আনিকেত মাহাতো মুখ্যমন্ত্রীর সামনে আমাদের দুষ্কৃতী বলে আমাদের সম্মাহানি করেছেন।
অন্যদিকে, আর এক ইন্টার্ন সৌরভ কুমার দাস বলেন, "তিলোত্তমার নামে বিচার চেয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করছে একদল। তিলোত্তামর নামে ৪ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। তারা দুষ্কৃতী নয়? আমরাই প্রথম বিচারের দাবিতে সরব হই। তারপর কিছু চিকিৎসক নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তিলোত্তমার নাম ব্যবহার করছে।"