নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলায় কারা উৎসবে ফিরবেন, আর কারা উৎসবে ফিরবেন না, তাঁরা জানেন না। তাঁরা শুধু জানেন, তাঁদের মেয়ে কোনওদিন ফিরবে না। তাঁরা জানেন, কোনও উৎসবে তাঁদের বাড়িতে আর আলো জ্বলবে না। ঢাকবে বাজবে না। মা দুর্গার আরাধোনা হবে না। পঞ্চমী থেকে দশমী ধরনা করবেন বলে জানালেন আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার বাবা-মা বলেন, ' আমরাও অবস্থান করব। এত লোক যদি আমাদের জন্য রাস্তায় নামতে পারে, আমরা কেন নামতে পারব না। কী অসুবিধা আছে। আমরাও সামনে একটা মঞ্চ বানিয়ে পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত থাকব। তারাও (ডাক্তাররা) আসবেন বলেছেন। আমাদের এখানে মেডিক্যাল ক্যাম্প বানাবেন বলেছেন।' নিহত চিকিৎসকের মা বলেছেন, "৮ তারিখে আমার মেয়ের ডিউটি ছিল। ৯ তারিখে আমার মেয়ের মৃত্যুর খবর আসে। আমাদের হাসপাতালে বসিয়ে রেখে তথ্য প্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল। দর্শক হিসেবে আমরা শুধু দেখে গিয়েছিলাম। আমাদের মতো কোনও বাবা-মাকে যেন এসব দেখে হয়। প্রশাসন কাউকে বাঁচানোর জন্য এসব কাজ করছেন। প্রশাসনের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।"
জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে নির্যাতিতার বাবা-মা বলেন, "থ্রেট কালচার এখনও চলছে। সমস্ত অভিযুক্তরা ধরা পড়েনি। এই পরিস্থিতিতে ওদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। আমার মেয়ের সঙ্গে যা হয়েছে, আমি চাই না, আর কারও সঙ্গে সেটা হোক।"
/anm-bengali/media/media_files/agbpsHjkczXAnwsxvKtb.jpeg)