মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন সফল! 'কন্যাশ্রী' ও 'রূপশ্রী' কে স্বীকৃত দিলো ইউনিসেফ

'কন্যাশ্রী' ও 'রূপশ্রী' কে স্বীকৃত দিলো ইউনিসেফ

author-image
Debapriya Sarkar
New Update
Mamata Banerjee

নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত 'কন্যাশ্রী' প্রকল্প ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বীকৃতি পেয়েছে। এবার ইউনিসেফের আধিকারিক এই প্রকল্পের পাশাপাশি 'রূপশ্রী'-র অবদানও উল্লেখ করেছে। শুক্রবার কলকাতায় এক আলোচনাচক্রে ইউনিসেফের ফিল্ড অফিসের প্রধান মনজুর হোসেন জানান, এই প্রকল্পগুলি রাজ্যে সামাজিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পগুলির অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে আরজি কর-কাণ্ডের পর নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে যখন। ইউনিসেফের এই মন্তব্য একটি সময়োপযোগী স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা সমাজে নারী ও শিশুদের সুরক্ষা এবং উন্নয়ন নিয়ে নতুন আলোচনার সূচনা করবে।

Unisef

রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, মহিলাদের যে সম্মান এই রাজ্যে অর্জিত হয়েছে, তা 'অতুলনীয়'। তিনি উল্লেখ করেন, মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছেন। কাজী নজরুল ইসলামের 'নারী' কবিতার একটি অংশ উদ্ধৃত করে চন্দ্রিমা বলেন, "বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।" এছাড়া তিনি আরো বলেন, "এর থেকে বড় কী হতে পারে! সারা বিশ্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তা দেখিয়ে দিচ্ছেন, কীভাবে মেয়েদের সম্মান দিতে হয় এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের জায়গা করে দিতে হয়।" এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর অবদানের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং রাজ্যের মহিলাদের সম্মানের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

 নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেছেন, এই দু'টি প্রকল্প নারী ক্ষমতায়নের পথে আরও দৃঢ় ভূমিকা রেখেছে। তিনি মন্তব্য করেছেন, "আবারও জগৎসভায় বাংলা প্রশংসা পেল।" এই প্রশংসার পর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সামাজিক মাধ্যমে জানানো হয়েছে, "বাংলাই পথ দেখাচ্ছে এবং প্রতিদিন নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।" এই মন্তব্যগুলি রাজ্যের মহিলা নেতাদের মাধ্যমে নারী empowerment-এর গুরুত্ব ও মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করছে।

Mamata Banerjee Claver Smile.jpg

বর্তমানে আরজি কর কাণ্ড আবহে ইউনিসেফের মন্তব্যকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে দলগত প্রচারে নেমেছেন তৃণমূল নেতারা। চন্দ্রিমা, শশী এবং বীরবাহা তাদের প্রচার মাধ্যমে এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে রাজ্য সরকার নারী ক্ষমতায়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এই বিষয়গুলির মাধ্যমে তারা সমাজে নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য সরকারের উদ্যোগ এবং উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির সফলতা তুলে ধরার চেষ্টা করছেন।