নিজস্ব সংবাদদাতা: টানা ৮ ঘণ্টা ধরে তদন্তের পর তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে বের হল সেন্ট্রাল জিএসটি'র দল। রাত পৌনে দুটো নাগাদ তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি থেকে তদন্ত শেষ করে চলে গেল জিএসটির অফিসাররা। তবে তারা জনিয়ে এলেই ভালো হয় বলে জানাচ্ছেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন।
জাকির হোসেন বলেন, তিনি একজন স্বচ্ছ ব্যবসায়ী। প্রায় ৩০ হাজার বিড়ি শ্রমিক রয়েছে তাঁর। জিএসটি ফাঁকি তিনি দেননি। তবে তার সবকিছুই ম্যানুয়াল, সুতরাং শ্রমিকদের কিছুটা হেরফের হতে পারে। আট ঘণ্টা ধরে জিএসটি অফিসারদের তদন্তে তিনি সাহায্য করেছেন। আইন মেনে তিনি ব্যবসা করেন। ফলে ওই জিএসটি অফিসাররা ফিরে গিয়ে সঠিক রিপোর্ট দেবে সেটাই তিনি আশা করেন। যদিও তাঁকে টার্গেট করে বিভিন্ন সেন্ট্রাল এজেন্সি তার কাছে চলে আসে তদন্ত করতে। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রী ওপর ভরসা করেন, জনগণ তাঁর পাশে রয়েছে বলে জানান জাকির হোসেন।
উল্লেখ্য, গতকাল সন্ধ্যায় জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়িতে সেন্ট্রাল জিএসটি'র প্রতিনিধিরা পৌঁছে যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাকির হোসেনের সুতির ঔরঙ্গাবাদের বিড়ি প্রডাকশন অফিস সহ একসঙ্গে তিনটি জায়গায় তদন্ত শুরু করে ওই জিএসটি টিম। প্রচুর সিআরপিএফ জওয়ান এলাকা ঘিরে ভোররাত পর্যন্ত ওই তদন্ত চলে।
ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াই এলাকায়। বিড়ি সরবরাহ করার সময় গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স ঠিকভাবে দেওয়া হয়েছে কিনা তার তদন্ত চলে, একই সঙ্গে জিএসটি ফাঁকি দিয়ে অন্য কোন পন্য সরবরাহ করা হয়েছে কিনা তার তদন্তও চলে। অবশেষে বুধবার রাত্রি পৌনে দুটো নাগাদ তদন্ত শেষ করে বেরিয়ে যায় ওই সেন্ট্রাল টিম।