নিজস্ব প্রতিবেদন : মহালয়ার আগে কলকাতার রাজপথে জড়ো হয়েছে জনজোয়ার, তবে এই ভিড় উৎসবের নয়, বরং দ্রোহের। সুবিচারের দাবিতে গর্জে উঠেছে হাজার হাজার মানুষ, চিকিৎসকের সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন রিকশাচালকরাও। মঙ্গলবার কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদনের দিকে যাত্রা করে একটি মহা মিছিল, যেখানে ৫৫টি সংগঠন অংশগ্রহণ করে।
দেবীপক্ষের সূচনা উপলক্ষে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের নিহত চিকিৎসকের বিচারের দাবিতে সকলে সরব হন। বয়স্ক চিকিৎসকরা মিছিলে হাঁটেন, এবং জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ওয়েস্ট বেঙ্গলের সদস্য তমোনাশ চৌধুরী জানান, শ্যামবাজার ও সোদপুরে ধর্না মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মিছিলে রাজনৈতিক পতাকা না থাকলেও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এক হয়ে জাতীয় পতাকার পাশে হাঁটতে দেখা যায়। রবীন্দ্র সদনের মুক্ত মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নিহত চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যরাও।
হরিনাভি মোড়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের নিহত চিকিৎসকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সনাতন দিন্দা প্রতীকি ছবি আঁকেন এবং সুবিচারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার শপথ নেওয়া হয়। শিয়ালদা থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে কামদুনির প্রতিবাদী মুখ টুম্পা কয়ালও অংশ নেন।
মহালয়ার আগের রাতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ সমাবেশ, ঢাকের আওয়াজ, গান ও পথনাটিকার আয়োজন করা হয়। জেলাগুলিতেও প্রতিবাদের চিত্র দেখা যায়। জুনিয়র ডাক্তাররা মহালয়ের দিনও মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে বেহালায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সবাই জাতীয় পতাকা উড়িয়ে প্রতিবাদ জানান। মহিলারা সাদা-শাড়ি লাল পাড় পরে একত্রিত হন এবং স্লোগানে গর্জে ওঠেন, 'উৎসব কবে হবে? আমার দুর্গা বিচার পেলে'। রাজনৈতিক রংহীন এই প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের সম্মিলিত অংশগ্রহণ দেখা যায়।