নিজস্ব সংবাদদাতা : জেলায় জেলায় চলছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের শেষ পর্বের প্রস্তুতি পর্ব। শহরে সেদিক থেকে বড় কোনো মিছিল বা মিটিংয়ের সম্ভাবনা নেই। যদিও রাস্তায় বেরনোর আগে হাতে সময় নিয়ে বেরনো উচিত। মঙ্গলবার কেমন থাকবে রাস্তার হাল হকিকত, জেনে নিন।
ট্রাফিক আপডেট জানান দিচ্ছে যে সকালে তেমন কোনো বড় মিছিল নেই। ফলে যানজটের সম্ভাবনাও কম। তবে দুপুরের দিকে পড়তে হতে পারে যানজটে। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ কলেজস্ট্রিটে একটি মিটিং রয়েছে। সেকারণে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের সম্ভাবনা প্রবল। এর প্রভাব পড়তে পারে পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতেও। এছাড়া আর তেমন কোনো বড় মিটিং বা মিছিল নেই শহরে।
বাইপাসে মেট্রোর কাজ চলছে। ফলে যান চলাচল কিছুটা ধীর গতিতে হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে খুব এতটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বর্ষার বৃষ্টিতে বেহাল দশা হয় রাস্তাঘাটের। খানাখন্দ থাকলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। কাদা-জলে বাড়ে যানজট। ধীর গতিতে হয় যান চলাচল। তবে মঙ্গলবার আকাশ রোদ ঝলমলে হওয়ায় রাস্তা দিয়ে সাঁই সাইঁ করে গাড়ি ছুটছে। অনেক সময় আকস্মিক কোনো দুর্ঘটনার জন্যও ব্য়াহত হয় যান চলাচল। সেক্ষেত্রে বেলা গড়ালে পরিস্থিতি কী রকম থাকে, কোনো দুর্ঘটনা ঘটছে কিনা সেই দিকেও নজর থাকবে। উড়ালপুলগুলিতে অনেক সময় দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। এছাড়াও গতির বলি হওয়া তো আছেই। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একের পর এক গাড়িতে ধাক্কা, কিংবা গাড়ি উল্টে যাওয়া, বাস দুর্ঘটনা এসব প্রায়শই ঘটছে। ব্যস্ত সময়ে নাজেহাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে। এদিকে সামনে পুজো। যানজটে জর্জরিত হতে চলেছে শহর। সকাল থেকে রাত জনজোয়ার বয়ে যাবে কলকাতার শহরতলীর ওপর দিয়ে। ট্রাফিক সার্জেন্টদেরও ব্যস্ততা বাড়বে যান নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়েষ রীতিমতেো হিমশিম খান তারা। সেই সঙ্গে গ্রিন পুলিশ ও ভলেন্টিয়াররা থাকে। সব মিলিয়ে শহরের রাস্তা এমনিতেই যানজট পূর্ণ। ফলে ট্রাফিক আপডেট জানা থাকলে রুট বদলে অন্য় রুট দিয়ে যাওয়া সম্ভব। যানজট এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়। গন্তব্য়ে সময়মতো পৌঁছনো যায়। স্কুল-কলেজ-অফিসে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছতে না পারলে বিপদ। চাকরিজীবীদের হতে পারে লেট ফাইন। স্কুলের পড়ুয়াদেরও লেট করে এলে ঢুকতে নাও দেওয়া হতে পারে। ফলে হাতে সময় নিয়ে বাড়ি তেকে বেরনো। আস্তে-ধীরে চলু। যাত্রা শুভ হোক।