নিজস্ব সংবাদদাতা: ভরদুপুরে জতুগৃহ তপসিয়ার ঝুপড়ি। পুড়ে ছাড়খাড় সব কিছু। দুপুর সাড়ে ১২টায় আগুন লাগে। কিন্তু ১০০ মিটার দূরে দমকল থাকা স্বত্ত্বেও দমকল এসে পৌঁছায় ঘণ্টা খানেক পর। আর তাতেই প্রায় বিরাট একটা এলাকা আগুনের গ্রাসে চলে যায়। হাতের কাছে যা পায় তা নিয়েই মানুষ বাইরে বেড়িয়ে আসে। সর্বস্ব হারানোর যন্ত্রণা তখন ঘিরে ধরেছে অসহায় মানুষ গুলিকে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অনেকে। কেউ আবার এই বলে আর্তনাদ করছেন সন্তানকে খুঁজে পাচ্ছেন না। এই সব মিলে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয় তপসিয়াতে।
আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে আসেন প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। তবে সেই সময় পুলিশকে দেখে মারমুখী হয়ে ওঠেন সব হারানো মানুষ গুলো। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট ছুঁড়তে শুরু করেন তারা। পুলিশ এতো দেরীতে কেন এলো, কেন সময়ে দমকল বাহিনী আসতে পারলো না, এই সব নিয়ে চড়াও হন ক্ষীপ্ত জনতা। তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকেও শেষমেশ লাঠিচার্জ করতে হয়। যাতে দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে বিনা বাধায় পৌঁছাতে পারে, তাঁর জন্যেই পুলিশ পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিকে আনার ব্যবস্থা করে।
ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন এখন খানিকটা নিয়ন্ত্রণে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রায় ২০০টি ঝুপড়ি ছিল। বহু মানুষের বাস ছিল। কিন্তু একটি সর্বগ্রাসী আগুন সমস্তটা শেষ করে দিয়েছে। সব হারিয়ে হাহাকার পড়েছে ঘটনাস্থলে।