নিজস্ব সংবাদদাতা: দলবিরোধী কাজের জের, তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হল শান্তনু সেন এবং আরাবুল ইসলামকে। দল থেকে নেওয়া হল এই সিদ্ধান্ত। এদিন এমনটাই জানালেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। একই কথা পরবর্তীতে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। এদিন শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়, এরা দলের শৃঙ্খলা-বিরোধী নানা রকম কাজ করেছিলেন। যা দলের ভাবমূর্তির পক্ষে ক্ষতিকর। এই পরিস্থিতিতে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি তাঁদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কতদিনের জন্যে তারা সাসপেন্ড, সেই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি দলের তরফে।
এই প্রথমবার সাসপেন্ড হলেন চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন। এর আগে রোগী কমিটির পদ থেকেও সরানো হয় তাঁকে। মূলত, গত বছর আরজি করে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর ঘটনার প্রথম জনসমক্ষে প্রতিবাদ করেছিলেন শান্তনু সেন। এমনকি বারেবারে প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নেমেছেন তিনি। সন্দীপ ঘোষ নিয়ে সরাসরি নিশানা করেছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর এই প্রতিবাদকে নিয়ে সুর তুলেছিল তৃণমূল-কংগ্রেস। তবে তাতে দমে যাননি চিকিৎসক নেতা। এমনকি তাঁকে থামানোর জন্যে তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকেও সরানো হয়। অথচ আরজি কর ইস্যুতে বারে বারে সোচ্চার হয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ। তাই এবার মনে করা হচ্ছে এই কারণেই কড়া শাস্তির মুখে পড়লেন শান্তনু সেন।
অন্যদিকে, এই দ্বিতীয়বার সাসপেন্ড হলেন ভাঙড়ের ত্রাস আরাবুল ইসলাম। তাঁর বিরুদ্ধেও দলবিরোধী কাজের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল আরাবুল ইসলামকে। পরে তা প্রত্যাহার করে দলে তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
গত পঞ্চায়েত ভোটে আরাবুল জয়ী হয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হন। তবে সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার চাপা দ্বন্দ্ব চলছিল। তা মাঝে মাঝে প্রকাশ্যেও আসে। সম্প্রতি আরাবুল বনাম শওকত সংঘর্ষ দলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দেয়। তখনই বোঝা গিয়েছিল, খুব শীঘ্রই আরাবুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল। আর সেই মোতাবেক আজ ব্যবস্থা নিল তৃণমূল-কংগ্রেস।