নিজস্ব সংবাদদাতা: দিন কয়েক আগে একেবারে পার্লামেন্ট চত্বরে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় সম্পর্কে নানা অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার আর সংসদ চত্বর নয়। কোন্ননগরে স্বমহিমায় শনিবার তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচিতে জগদীপ ধনখড়কে নিয়ে নানা রকমের কৌতুক করতে দেখা যায় কল্যাণকে। এদিকে সাংসদের এই কৌতুক দেখে হাসির রোল ওঠে সভাস্থলে।
সভায় এসে কল্যাণ বিরোধী সাংসদদের বরখাস্ত করা নিয়ে তীব্র আপত্তি দেখান। তাঁর কথায়, প্রথমে ১৫, তারপর ৪০। তারপর ১৪১জন সাসপেন্ড হল। ভারতের গণতন্ত্রে এমন ঘটনা আগে দেখা যায়নি। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের সাহস হয়নি বিরোধীদের মুখোমুখি হওয়ার। তারা এর প্রতিবাদ করেছে। তবে প্রতিবাদের অনেক ভাষা হতে পারে। চিৎকার, ঠেলাঠেলির পাশাপাশি মজার ভাষাও হতে পারে। যিনি মজা করাটা বুঝতে পারেন না এটা তাঁর অক্ষমতা। বাংলায় একবার পা দিয়েই সব কিছু বোঝা যায় না। জ্যাঠা-কাকাকে ধরে দিল্লি গেলেই কী সব শেখা যায়? বলেন, 'আমরা প্রথম মিমিক্রি শিখলাম প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সংসদে। তারপর নির্মলা সীতারামনের কাছ থেকে। আমরা তো স্পোর্টিংলি নিলাম। এখন যদি কৌতুক বুঝতে না পেরে কাঁদতে আরম্ভ করে আমার তো কিছু করার নেই', এরপরই কান্নার মিমিক্রি করলেন কল্যাণ।