নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ অনশনের কারণে একের পর এক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। আরজিকর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো সপ্তমীর রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর দশমীর দিন অসুস্থ হন আরও দু'জন জুনিয়র চিকিৎসক, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অলোক ভার্মা এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অনুষ্ঠুপ মুখোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনজনই হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ারে চিকিৎসাধীন।
/anm-bengali/media/media_files/1000076631.jpg)
অনুষ্ঠুপ মুখোপাধ্যায় দশমীর রাতে আচমকাই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ জানান, তাঁর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। পেটে ব্যথা কমলেও মূত্রে কিটোনের পরিমাণ এখনও আছে। স্যালাইন দেওয়ার কারণে রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়েছে, তবে এন্ডোস্কোপি করা হচ্ছে না।

অনিকেত মাহাতোও ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হচ্ছেন। আরজি কর হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন তিনি। শরীরে জলের ঘাটতির কারণে তাঁর রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তাঁকে ডাবের জল ও ফলের রস দেওয়া হচ্ছে, তবে এখনও খুব দুর্বল আছেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অলোক ভার্মা সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তাঁর পরিস্থিতিও উন্নতি হচ্ছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে এসে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সকলেই নিজেদের সন্তানদের চিকিৎসা ও আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন।