নিজস্ব সংবাদদাতা: ট্যুইট করে বামেদের চরম নিশানা করলেন তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি বলেছেন,
"চিনে রাখুন এই বামপন্থীদের
সামশেরগঞ্জে যখন হিন্দু হওয়ার অপরাধে হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে নির্মমভাবে খুন হতে হয়, তখন বামপন্থীরা নিঃশব্দ। গোটা রাজ্য দেখেছে, পরিবার থানায় কী অভিযোগ করেছে — তবুও মোঃ সেলিমদের মতো তথাকথিত নেতারা মুখ ফুটে বলতে পারেনি কেন খুন হল তাদেরই সমর্থক, কারা করল এই বর্বরতা।
মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের উপর একের পর এক আক্রমণ হয়েছে। ঘরছাড়া, নিপীড়ন, প্রাণনাশ — সবকিছু ঘটেছে খোলাখুলি। কিন্তু একটিও বাম নেতা, একটিও মুখপাত্র সাহস করেনি প্রশ্ন তুলতে — “কারা করছে এইসব?” অথবা “কেন করা হচ্ছে?” যাদের কাজ মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের মুখে তালা, চোখে ঠুলি।
যখন হিন্দুদের উপর অত্যাচার চলে, তখন বামপন্থীরা চুপ থাকে। আর এই নীরবতার মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যায় এদের স্বরূপ। এরা তখনই চিৎকার করে ওঠে, যখন বিদেশে কিছু ঘটে — আগে ভিয়েতনাম ভিয়েতনাম করে চেঁচাত, এখন প্যালেস্টাইন প্যালেস্টাইন বলে রাস্তায় নামে।
কলকাতার রাজপথে কাঁধে প্যালেস্টাইনের পতাকা নিয়ে যারা ‘মানবতা’র নামে হাঁটে, তারা নিজের রাজ্যে হিন্দুদের উপর চলা অত্যাচার নিয়ে একটা পোস্টারও তৈরি করে না। তাদের মানবতা শুধুই আন্তর্জাতিক — নিজেদের দেশ, নিজের রাজ্যের হিন্দু সমাজের দুর্দশা এদের দৃষ্টিসীমার বাইরে।
এই হল এদের ধর্মনিরপেক্ষতা — যেখানে মুসলিম তোষণই মূল লক্ষ্য, আর হিন্দুদের প্রতিক্রিয়া মানেই ‘communal’ তকমা। একপাক্ষিক এই নীতি শুধুই রাজনৈতিক সুবিধাবাদের প্রতিচ্ছবি।
যদি এদের শরীরে সত্যিই ভারতীয় রক্ত থাকত, যদি এই বামপন্থীদের অন্তরে সামান্য হিন্দুদের প্রতি সহানুভূতি থাকত, তাহলে ব্রিগেড সমাবেশে যেমন প্যালেস্টাইনের পতাকা আর পোস্টারে ছেয়ে যায় ময়দান, তেমনই মুর্শিদাবাদের নিহত হিন্দুদের জন্যও কিছু না কিছু প্রতীক থাকত।
এরা কেউ ধর্মনিরপেক্ষ নয়, এদের ধর্মনিরপেক্ষতা হলো হিন্দু বিদ্বেষ এবং মুসলমান তোষণ।। PSEUDO SECULAR RUDALI এই কথাটা এদের জন্য যথাযথ প্রযোজ্য।"
তরুণজ্যোতি তিওয়ারির ট্যুইট ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/JNV2fzISVa0jWW7rcJ6j.jpg)