'পশ্চাৎদেশ উন্মুক্ত করে...', বিশেষ গল্প লিখলেন TMC-র এই চর্চিত বিধায়ক!

কী ইঙ্গিত তার?

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
1687406661_manoranjan-byapari

নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিশেষ পোস্ট করলেন তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। 

manoranjan1

তিনি লেখেন, একটা গল্প বলছি। এক প্রবীন  লোকের মুখে শোনা । তাই হলফ করে বলতে পারবো না, কতটা সত্যি- আর কতটা জল মেশানো।

এটা পলাশীর যুদ্ধের সাতদিন আগের ঘটনা। সেদিন মুর্শিদাবাদ থেকে নৌকাযোগে কোলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন দুই ষড়যন্ত্রী - মীরজাফর ও রাজা রাজভল্লব। আমরা আপনাকে কী দিতে পারি, বিনিময়ে আপনি আমাদের কী দেবেন সেই কথা বলার জন্য দেখা করবেন লর্ড ক্লাইভের সঙ্গে।

ব্যাপারটা নিন্দনীয়, পাছে কেউ দেখে ফেলে- ওদের বের হতে হয়েছে রাত দুপুরে-লুকিয়ে লুকিয়ে।নৌকা তখনো কোলকাতা পৌছাতে পারেনি-পথে সকাল হয়ে গেছে । স্বাভাবিক নিয়মেই দুজনের পায়খানা পেয়ে গেছে। খুব সমস্যা ! কী করবেন এখন? রাজা রাজভল্লব ধর্মপ্রান- পুন্যবান এক হিন্দু । যিনি গঙ্গাকে অতি পবিত্র নদী বলে মনে করেন। যে গঙ্গার একফোটা জল মাথায় রাখলে শত বছরের পাপ ধুয়ে যায়।আর দিনে পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়া মীরজাফর- তিনিও পানীকে মানবসমাজের জন্য আল্লাহর উৎকৃষ্ট দান বলে মনে করেন। কোনভাবে একে নষ্ট করলে আল্লাহের গজবে পড়তে হবে। তাই দুজনের কেউ গঙ্গাবক্ষে নৌকায় বসে জল বা পানীতে মলত্যাগ করতে রাজী নয়। অতএব একান্ত বাধ্য হয়ে নৌকা পাড়ে ভেড়াতে হলো।

আগামীর ইতিহাস গড়তে চলা দুই বন্ধু নামলেন নৌকা থেকে, পুন্য প্রভাতের সূর্যকিরন ও  উন্মুক্তবাতাস অঙ্গে লাগিয়ে প্রানভরে হাগলেন তাঁরা। এ যেমন তেমন হাগু নয়, কাজু কিসমিস আখরোট- এবং পঞ্চগব্য সহ শুদ্ধ  শিলাজিত খাওয়া তেজবান হাগু।

প্রভাতের পুন্য ও পবিত্রকর্ম সমাপন শেয়ে প্রক্ষালন করে দেহমনে হালকা হয়ে নৌকায় উঠে চলে গেলেন কোলকাতার দিকে। ওঁরা চলে গেলেন কিন্ত রয়ে গেল ওদের তেজবান- হাগু।

বহু কোটি বছর পুর্বে একবার সূর্যগ্রহে প্রচণ্ড বিস্ফোরন ঘটে । যার ফলে একটা টুকরো ভেঙ্গে ছিটকে চলে আসে বহু কোটি মাইল  দূরে। বহু কোটি বছর সেই টুকরোটা –যাকে আমরা আজ পৃথিবী বলে জানি একটা আগুনের গোলা হয়েই থাকে।তারপর একদিন পৃথিবী শীতল হয়, উদ্ভব হয় জলের এবং সেই জলে শ্যাওলা জন্মায়। শ্যাওলায় জন্মায় এক কোষিপ্রানী।সেই প্রানী থেকে  ধীরে ধীরে বহু বিবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রথমে বানর তারপর মানুষ জন্মায় পৃথিবীতে।

যাহ্ ওয়াড়া- কোন গল্প বলতে বলতে আমি কোন গল্পে ঢুকে গেছি ! কী বলছিলাম যেন ? হাগু- সরি বিষ্ঠা ! প্রতিটা পদার্থের নাম স্থান কাল পাত্র বিশেষে আলাদা আলাদা হয়। যেমন সকালবেলা জলদেওয়া ভাত নুন কাচা লংকা দিয়ে পিণ্ডির মতো চটকে পেয়াজ সহযোগে যা খাওয়া হয়- ওটা পান্তাভাত।

 ঠিক ওই রকম নয়, তবে বাসি ভাত একটু গাওয়া ঘী আর একটু গাজর মটর শুটি দিয়ে গরম করে নিলেই নাম বদলে হয়ে যায়  ফ্রাইড রাইস। দামী টেবিলে বলে খেলেই খাবার নাম হয়ে যায় ব্রেকফাষ্ট !

সেই রকম পোঁদ খুলে মাঠে বসে আমরা যেটা করি ওটা হাগু। আবার পশ্চাৎদেশ উন্মুক্ত করে মহাশয় মানুষ যেটা করেন তার নাম বিষ্ঠা। তা ওঁরা তো চলে গেলেন রয়ে গেল ওনাদের মূল্যবান বিষ্ঠা । কিছুদিন পরে সেই বিষ্ঠায় পোকা জন্ম নিল। তেজবান বিষ্ঠায় জন্মানো তেজবান বিষ্ঠাপোকা। নধর আর নাদুস। গঙ্গাপাড়ের মাটি সতেজ ও উর্বরা । ফলে একটি প্রান থেকে কয়েক মাসে শত শত , তারপর তা থেকে হাজার হাজার-লক্ষ লক্ষ ।

ধীরে ধীরে সেই পোকারা বড় হয়ে ঠিক মানুষের মতোই দেখতে হয়ে গেল। যেমন পুর্বে বানরেরা মানুষের মতো হয়ে গেছে। তারপর সেই বিষ্ঠা পোকারা জামাকাপড় পরে মিশে গেল মানুষের মধ্যে । মানুষের সমাজে।

এদের মধ্যে আজকাল বহু ইংরেজি জানা, মোটা মোটা বই লেখা, ভালো বক্তৃতা দেওয়া, সুন্দর চেহারা সম্পন্ন জীব পাওয়া যাবে । তাই  মানুষ না বিষ্ঠা পোকা সাদাচোখে সনাক্ত করা খুব কঠিন। 

তবে গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করলে- তাদের আচার আচরন ভাবনা চিন্তা দেখে  কেউ কেউ বুঝে যেতে পারে কোনটা রাজা রাজভল্লবের আর কোনটা মীরজাফরের বিষ্ঠায় উৎপন্ন প্রানী।