শুধু রুশ বান্ধবী নয়, ১৫ বিদেশিনীর অ্যাকাউন্টে টাকা পাচার! কে সেই নেতা?

কী করে দুর্নীতিতে যুক্ত কোটি কোটি টাকা এদেশ থেকে গেছে বিদেশে সেই প্রমাণ যোগাড় করতে তৎপর ইডি আধিকারিকরা। এর আগে এক রাশিয়ান বান্ধবীর কথা উঠে এসেছিল। এবার আরো কিছু বিদেশিনীর কথা উঠে এল তদন্তে।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
edvisit1

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: লন্ডনবাসী রুশ 'বান্ধবীর' ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বাংলার এক 'প্রভাবশালী'র কালো টাকার 'খোঁজ মেলার' অভিযোগ ইডি তুলতেই শোরগোল পড়েছে। সেই তদন্তে আরও এক ধাপ এগিয়ে তদন্তকারী সংস্থা অভিযোগ করছে যে একা ওই রুশ 'বান্ধবীর' কাছে নয়, 'প্রভাবশালী'র দুর্নীতির টাকা পাঠানো হয়েছে আরও অন্তত ১৫ জন বিদেশিনির অ্যাকাউন্টে। বেশ কয়েকজন নাকি ফিলিপিন্সের বাসিন্দা। তদন্তকারীদের দাবি, এই একই পদ্ধতিতে টাকা রেখেছেন রাজ্যের আর এক 'প্রভাবশালী' নেতাও।

ইডি দাবি করছে যে সাবেক সোভিয়েট ইউনিয়ন ভেঙে তৈরি হওয়া বিভিন্ন ছোট-ছোট দেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশের কমবয়সি অনেক মহিলা দুবাইসহ পশ্চিম এশিয়ার নানা দেশে নানা পেশায় যুক্ত। মূলত পাঁচতারা হোটেলে নাচ-গানের আসরে সেখানে আসা ধনীদের অনেকের সঙ্গে এদের ওঠাবসা রয়েছে। এদেরই অনেকে আবার এই ধনীদের কালো টাকা রাখতে 'ভাড়া দেন' নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। বিনিময়ে পান কমিশন। এখন ইডি দাবি করছে যে যে 'প্রভাবশালী'র রুশ বান্ধবী-যোগের কথা ইতিমধ্যেই তারা প্রকাশ্যে এনেছে, তাঁর টাকার একটি মোটা অংশ জমা পড়েছে হংকং, তাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্সসহ বেশ কয়েকটি দেশের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে। যাদের অ্যাকাউন্ট তাঁরা অনেকেই নাকি পেশাদার মডেল। এ ক্ষেত্রে ওই রুশ বান্ধবীই তাঁদের সঙ্গে 'প্রভাবশালী'র যোগ স্থাপন করিয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থা দাবি করছে। ইডি আরও দাবি করে যে ওই সমস্ত বিদেশিনির অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি ইতিমধ্যেই তারা পেয়েছে। আবার বেশ কিছু নথি জমা রেখেছিলেন প্রভাবশালীর ঘনিষ্ঠও।

ইডি অভিযোগ করছে যে অ্যাকাউন্ট ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত হল, অ্যাকাউন্টে ১০০ টাকা রাখলে, মহিলা পাবেন ৫ টাকা। চুক্তি হচ্ছে মৌখিকভাবে। হাওয়ালায় এমনটা হয়। তবে অ্যাকাউন্টের পুরো নিয়ন্ত্রণ রাখেন যিনি টাকা রাখছেন তিনিই। ডেবিট কার্ড, চেকবই, ব্যাঙ্কের যাবতীয় নথি থাকে তাঁরই জিম্মায়। নেট ব্যাঙ্কিংয়েও ওই অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড থেকে শুরু করে সব কিছু যিনি টাকা রেখেছেন, তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকে। তদন্তে যুক্ত এক আধিকারিক দাবি করছেন যে গত কয়েক বছরে ভারত থেকে মোটা টাকা নিয়ে যাঁদের বিরুদ্ধে দেশছেড়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে, এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন তাঁদের অনেকেও। 'প্রভাবশালী'র বিদেশে টাকা পাচারে তদন্তকারীরা অনুমান করছেন যে টাকা জমা পড়তেই বেশ কিছু ক্ষেত্রে মোট অঙ্কের ২-৩% ওই সব অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা হয়। যাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে, প্রাথমিক কমিশন বাবদ তাঁকেই ২-৩% দিতে হয়েছে।