নিজস্ব সংবাদদাতা: পুজোর চারদিন বাড়ির সামনে ধরনায় বসতে চলেছেন আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মা। রবিবার তিনি সাংবাদিকদের এই কথাই জানালেন। এদিন নির্যাতিতার মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা পুজোয় বাড়িতে আনন্দে থাকতাম। এই বাড়িতে তো আর কোনও দিন পুজো হবে না। তাই সাধারণ মানুষের মতো আমরা পুজোর ৪ দিন উঠোনে থাকব। ষষ্ঠী থেকে বিজয়া দশমী। সেজন্য বাড়ির উঠোনে একটা মঞ্চ বেঁধেছি। ওই মঞ্চে আমাদের পরিবারের লোকেরা থাকবেন। আমরা কাউকে আমন্ত্রণ জানাইনি। তবে যার ইচ্ছা করবে আসবেন। যে কেউ আসতে পারেন।’
আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনাকে একটা দুর্ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁরা বলেন, "আমার মেয়ে তো ডিউটিতে ছিল। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এটা ইচ্ছাকৃত ঘটনা। এটাকে কীভাবে দুর্ঘটনা বলা যেতে পারে।"
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার মা। তাঁদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন নির্যাতিতার মা। তিনি বলেন,"ওরা না খেয়ে আন্দোলন করছে। খুব কষ্টে আছি। আমাদের মেয়েকে হারিয়েছি। এখন ওরাই আমাদের সন্তান। আমি চাইবো মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করে সমাধান মিটিয়ে ফেলেন।"
শনিবার থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশনে বসেন। তার আগে সাংবাদিক সম্মেলন করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সাংবাদিক সম্মেলন করে জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, তাঁরা ১০ দফা দাবি করেছিলেন। তা পূরণ করেনি সরকার। এবার সেই কারণে আমরণ অনশনে বসছেন। শুধু তাই নয়, আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার ঘোষণা করেছিলেন, তাঁর সম্পূর্ণ কর্মবিরতি তুলে নিয়ে কাজে ফিরছেন। নিজেদের সেই অবস্থানে অটুট থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, কাজে যোগ দেব। কিন্তু কিছু খাবো না। পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, অনশনের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তাঁরা সিসিটিভি ক্যামেরা বসাবেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, ইতিমধ্যে অনেকে কাজ যোগ দিয়েছেন। সোমবারের মধ্যে সমস্ত জুনিয়র চিকিৎসক কাজে যোগ দেবেন। কিন্তু কোনও মূল্যে তাঁরা কিছু খাবেন না।