নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কলকাতার দুর্গাপুজো হল একটি জীবন্ত উৎসব। প্রযুক্তি এই উৎসবকে আরও সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভার্চুয়াল রিয়ালিটি থেকে লাইভ স্ট্রিমিং পর্যন্ত, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনগুলি উৎসবকে আরও সহজলভ্য করে তুলেছে। এই বছর, আয়োজকরা আরও বেশি বৃহত্তর দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গ্রহণ করেছেন।
ভার্চুয়াল রিয়ালিটি এবং লাইভ স্ট্রিমিংঃ ভার্চুয়াল রিয়ালিটি (ভিআর) দুর্গাপুজো প্যান্ডেলগুলির নিমজ্জিত অভিজ্ঞতা প্রদান করে। লোকেরা তাদের বাড়ি থেকে জটিল নকশাগুলি অন্বেষণ করতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লাইভ স্ট্রিমিং বিশ্বব্যাপী ভক্তদের অনুষ্ঠানগুলিতে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম করে। এই প্রযুক্তিগত সরঞ্জামগুলি নিশ্চিত করে যে সকলেই অবস্থান নির্বিশেষে উৎসব উপভোগ করতে পারে।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং সোশ্যাল মিডিয়াঃ Facebook এবং Instagram এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম দুর্গাপুজোর কন্টেন্টে গরম হয়ে উঠছে। আয়োজকরা আপডেট, সময়সূচী এবং পর্দার পিছনের ঝলকগুলি শেয়ার করেন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম মানুষকে সংযোগ করতে সাহায্য করে, সম্প্রদায়ের অনুভূতি তৈরি করে। এগুলি আয়োজকদের সাথে প্রতিক্রিয়া এবং মিথস্ক্রিয়া করার মাধ্যম হিসেবেও কাজ করে।
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনঃ দুর্গাপুজোর জন্য নিবেদিত মোবাইল অ্যাপ প্যান্ডেল অবস্থান, ইভেন্ট এবং সময় সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে। ব্যবহারকারীরা এই অ্যাপগুলি ব্যবহার করে তাদের ভ্রমণ কার্যকরভাবে পরিকল্পনা করতে পারে। কিছু অ্যাপ্লিকেশন ভার্চুয়াল ট্যুর এবং ইন্টারেক্টিভ মানচিত্রের মতো বৈশিষ্ট্যগুলি অফার করে, দর্শনার্থীদের জন্য সামগ্রিক অভিজ্ঞতা উন্নত করে।
সুরক্ষা ব্যবস্থাঃ প্রযুক্তি উৎসবের সময় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। সিসিটিভি ক্যামেরা ভিড়ের এলাকাগুলি পর্যবেক্ষণ করে, যখন ড্রোনগুলি আকাশ থেকে নজরদারি করে। এই ব্যবস্থাগুলি সকল উপস্থিতদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করে বৃহৎ সমাবেশ কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।
কলকাতার দুর্গাপুজো উৎসবে প্রযুক্তির একীকরণ তাদের আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নিরাপদ করে তুলেছে। প্রযুক্তি বিকশিত হতে থাকায়, এটি ভবিষ্যতের উৎসবে আরও বেশি প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করবে।