নিজস্ব সংবাদদাতা: আরজি করে ২৮ বছরের এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ করা হয়েছিল যে আরজি করে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরেই ওই যুবক চিকিৎসা পাননি। সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছিল, জরুরি ভিত্তিতে সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছিল ওই যুবককে। কিন্তু ওই যুবক চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন না। এরপরেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়। মৃত রোগীর পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ৯টার সময় রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ১২টা পর্যন্ত কোনও চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়নি। বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছে ওই যুবক।
এরপরেই সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরজি করে ২৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। কারণ হিসেবে অভিযোগ করা হচ্ছে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন ও কর্মবিরতি। অন্যদিকে, আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎস কিঞ্জল নন্দা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে এই সময়ের মধ্যে আরজি করে রোগী মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩৮। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা ছিল ৫৯। ২০২১ সালে ১৭৮ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। ২০২০ সালে ৪২৯ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা মহামারীর প্রকোপ ছিল। সেই কারণে রোগী মৃত্যুর সংখ্যাটা বেশি। কিন্তু ২০২২ ও ২০২৩ সালে তুলনায় ২০২৪ সালে আরজি করে রোগী মৃত্যুর সংখ্যাটা অনেক কম।
অন্দোলনকারী ওই চিকিৎসক এই তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছে, আরজি করের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের থেকে এই তথ্য তিনি পেয়েছেন।