নিজস্ব সংবাদদাতা: আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের বার বার কাজে ফেরার আহ্বান জানাচ্ছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে, তৃণমূলের বিধায়ক সাংসদরা তাঁদের কার্যত হুমকি দিচ্ছেন। তৃণমূলের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মশাল নিয়ে মিছিল বের করেন। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক কার্যত ভেস্তে যায়।
শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে জুনিয়র চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীকে নিজেদের দাবি মনে করিয়ে দেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, "আমাদের প্রথম দাবি অভয়ার তদন্ত এবং দ্রুত ন্যায়বিচার। সন্দীপ ঘোষ সহ সব স্বাস্থ্য অধিকর্তা যাঁরা আর জি করের ঘটনাস্থল এবং সংলগ্ন এলাকায় ভাঙচুরের নির্দেশ দিলেন এবং যাঁদের নিষ্ক্রিয়তায় অথবা সক্রিয় অংশগ্রহণে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগে ভয়ঙ্কর দুর্নীতি ও ভয়ের রাজনীতি তৈরি হয়েছে, সেই DME, DHS, প্রিন্সিপ্যাল হেল্থ সেক্রেটারিকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলকে সুরক্ষিত রাখতে পারেননি, আরজি করে হামলার সময় পুলিশ নীরব থেকেছে, সেই সমস্ত অভিযোগে অভিযুক্ত করে পুলিশ কমিশনারকে অপসারণ করতে হবে। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা যাঁরা করেছেন তাঁদের সবার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। হাসপাতালে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের সহ মহিলাদের উপযুক্ত নিরাপত্তা দিতে হবে। ডাক্তারদের থাকার জন্য অন কল রুম, পৃথক বাথরুম, সিসিটিভি ক্যামেরা দিতে হবে।''
অন্যদিকে, ভাইরাল অডিও বার্তা ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। বিধাননগর পুলিশ স্বতঃপ্রণেদিত মামলা রজু করেছে। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কারা এর সঙ্গে যুক্ত শীঘ্রই প্রকাশিত পাবে।