নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের একবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকে। বৈঠকে লাইফ স্ট্রিমিং ও ভিডিওগ্রাফিতে অনুমতি মেলেনি। তবে সেক্ষেত্রে কার্যবিবরণী লিখে দুই পক্ষের স্বাক্ষর থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা দুই জন স্টেনোগ্রাফারকে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু স্টেনোগ্রাফারকে বৈঠকে ঢুকতে দেওয়া আদৌ হবে কি না, সেই বিষয়ে কোনও পরিষ্কার তথ্য জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে দেওয়া হয়নি। তবে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে সারা রাজ্য।
অন্যদিকে, সোমবার সকালেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে চিঠি আসে। তারপর থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা হয়। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, আগে আমরা ভিডিওগ্রাফির মিনিটসে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটাও হবে না। আমরা আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেব। এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করলেও পাঁচ দফা দাবির বাইরে কোনও আলোচনা করবো না।
শনিবার যখন কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকের জন্য জুনিয়র চিকিৎসকরা যান, তখনের থেকে এখনের পরিস্থিতি অনেক পাল্টে গিয়েছে। সরকারি সমস্ত শর্ত মেনে আলোচনাতে বসতে জুনিয়র চিকিৎসকরা রাজি হলেও শেষ মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী বেঁকে বসেন। যার জেরে বৈঠক কার্যত ভেস্তে যায়। এই ঘটনায় কিছু জুনিয়র চিকিৎসক কান্নায় ভেঙে পড়েন।