নিজস্ব প্রতিবেদন : সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার পঞ্চম শুনানি চলাকালে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বিস্ফোরক অভিযোগ উত্থাপন করেন। তিনি দাবি করেন, হাসপাতালে জাল ওষুধের একটি চক্র কাজ করছে। আদালতে তিনি ২০০৩ সালে চন্দন সেন নামে এক চিকিৎসকের মৃত্যুর কথাও উল্লেখ করেন। ফিরোজ এডুলজি আরও বলেন, 'দেবাশিস সোমের ভূমিকা কী ছিল সেটা দেখা হয়নি। উনি উত্তরবঙ্গ লবির ঘনিষ্ঠ এবং প্রধানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।' এ বিষয়গুলোর ওপর তদন্তের দাবি জানিয়ে মামলার শুনানি অব্যাহত রয়েছে।
এদিন হাইকোর্টে আর জি কর মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ই অক্টোবর ঘোষণা করা হয়। সেদিন সিবিআই আগামী হলফনামায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জমা দেবে। গত ১২ দিনে তদন্তে কতদূর অগ্রগতি হয়েছে এবং নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য কী কী উঠে এসেছে, তা উল্লেখ থাকবে। বিশেষ করে, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এবং তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তাঁর ফাঁসির সাজা হতে পারে বলে শিয়ালদহ স্পেশাল সিবিআই কোর্ট মন্তব্য করেছে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর নির্যাতিতার বাবার চিঠির পর ১৭ সেপ্টেম্বর শীর্ষ আদালত সিবিআইকে নির্দেশ দেয় যাতে তারা নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে। নতুন লিড নিয়ে সিবিআই কী তথ্য পেয়েছে, তা তাদের হলফনামায় থাকবে। এছাড়াও, আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংয়ের উল্লেখিত জুনিয়র ডাক্তারদের তদন্ত সংক্রান্ত তথ্য এবং কলকাতা হাইকোর্টের অরিজিনাল পিটিশনারের গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে নজর থাকবে।