মুখ্যমন্ত্রীর ধমক, জুনিয়র ডাক্তারদের জবাব : কি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী?

নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

author-image
Debapriya Sarkar
New Update

নিজস্ব প্রতিবেদন : আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন, যা তাঁদের জন্য একটি শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়ায়।

publive-image

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদেরকে বলেন যে, স্বাস্থ্যসেবায় জুনিয়র ডাক্তারদের কিছু কার্যকলাপ সঠিক নয় এবং তাঁদের মধ্যে অনেক ভুল রয়েছে। তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, চিকিৎসা পেশায় পেশাদারিত্ব এবং দায়িত্ববোধের অভাব না থাকলে পরিস্থিতি কখনও পরিবর্তিত হবে না। তাঁর কথায়, "আপনাদের কাজের প্রতি আরও মনোযোগী হতে হবে। স্বাস্থ্যের সেবার ক্ষেত্রে আপনাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে।"

bghjk

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনে জুনিয়র চিকিৎসকরা চাপে পড়ে যান। তাঁরা বুঝতে পারেন যে মুখ্যমন্ত্রীর কথাগুলো একটাও ভুল নয়। এটি তাঁদের নিজেদের মধ্যে একটি স্ব-মূল্যায়ন করার সুযোগ সৃষ্টি করে। অনেক চিকিৎসক নিজেদের ভুলের দিকটি চিন্তা করতে শুরু করেন এবং বুঝতে পারেন যে, আন্দোলনের মধ্যে নিজেদের কর্মপদ্ধতিরও পুনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন।

Mamata

বৈঠকের শেষে, জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরা মনে করেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা থেকে কিছু ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে এবং এটি একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তবে, তাঁরা স্পষ্ট করে দেন যে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং তাঁদের দাবি পূরণের জন্য তারা নিরলস লড়াই চালিয়ে যাবেন।

রহহহ

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে, জুনিয়র চিকিৎসকদের যে কার্যকলাপগুলোর সমালোচনা করা হয়েছে, তা প্রমাণ করে যে, চিকিৎসা পেশায় নতুন করে পেশাগত চেতনা এবং দায়িত্ববোধের প্রয়োজন। তাঁরা সবাই জানেন যে, স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে তাদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে, এই বৈঠকটি শুধুমাত্র অনশন প্রত্যাহারের একটি কারণ নয়, বরং এটি তাঁদের পেশাগত চেতনা এবং দায়িত্ববোধের দিকে নতুন করে দৃষ্টি দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় আরও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তারা একসঙ্গে কাজ করবেন।