নিজস্ব সংবাদদাতা: চিকিৎসকরা বার বার হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। হাসপাতালে নিরাপত্তার কাজ এত ধীর গতিতে হচ্ছে কেন, সেই বিষয়ে খোদ প্রশ্ন তোলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াই চন্দ্রচূড়। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, হাসপাতালের নিরাপত্তা পরিকাঠামোর কাজ শেষ করতে আরো কিছুটা সময় লাগবে। পরিকঠামো গত সমস্যা থাকায় এই কাজে দেরি হচ্ছে। ১৭ সেপ্টেম্বর রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছিল, ১৫ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে। তবে এবার রাজ্যের তরফে আরও কিছুটা সময় চেয়ে নেয় রাজ্য।
সোমবার রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে বলা হয়, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ হয়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি ১৫ অক্টোবর এর মধ্যে সব কাজ শেষ করে ফেলার। অন্যদিকে, এদিন, সিবিআই-এর রিট পিটিশনে যাদের নাম উল্লেখ রয়েছে, তারা অনেকেই ক্রাইম সিনে ছিলেন। এদের অনেকেই এখনও পর্যন্ত ক্ষমতায় আছেন। যতক্ষণ না তদন্ত শেষ হচ্ছে এদের সাসপেন্ড করা উচিত বলে উল্লেখ করেন সিনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী। জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন, "জুনিয়র ডাক্তাররা ইতিমধ্যেই কাজে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা এখনও পর্যন্ত আরজিকরের কর্তৃপক্ষের পদ মর্যাদায় রয়েছেন। যতক্ষণ তাঁরা আছেন ততক্ষণ ভয়-ভীতি ছাড়া কীভাবে কাজ করা সম্ভব? তাঁদের সাসপেন্ড করার আবেদন জানাচ্ছি।" এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, " আমাদের জানান তারা কারা, যাদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির জন্য তদন্ত চলছে? শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকারকে এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে সেই তথ্য শেয়ার করা হবে।"