নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দেশ জুড়ে আজ আরজি করে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এই নক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ থেকে নেতামন্ত্রী সকলেই ধিক্কার জানিয়েছেন। আরজি করের ঘটনার এক মাস অতিক্রান্ত। এবার এই এক মাস পরেই মিলল এক নয়া তথ্য। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে যে, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের পরেই তার মোবাইল ফোন থেকে ডিলিট করা হয়েছিল সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যা থেকে সামনে আসতে পারত নানা দুর্নীতির সূত্র। তবে সেই সব তথ্যই এবার সিবিআই আধিকারিকদের হাতে এসেছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, সেদিন নির্যাতিতার মোবাইল থেকে বেশ কিছু ভিডিও এবং ফাইল ডিলিট করা হয়েছে। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে যে, এই সব দেতা ডিলিট করা হয়েছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই। আরও জানা গিয়েছে যে, সেদিন সব ডেটা মুছে ফেলার পরে সেই ফোনটিকে আবার নির্যাতিতার দেহের পাশে ফেলে আসা হয়। যাতে কারুর কোনওরকম সন্দেহ না হয়।
এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, নির্যাতিতার ফোন থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি মুছে ফেলা হলেও সিবিআই আধিকারিকদের হাতে এসেছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপ। জানা গিয়েছে যে, সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়িতে এবং শ্যালিকার বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই বাড়িতেই উদ্ধার করা হয়েছে এই ল্যাপটপ। এই ল্যাপটপটিকে সন্দীপ ঘোষের এক আত্মীয়ের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে সেটিকে খুঁজে তার তল্লাশি করা হচ্ছে। ইডি মনে করছে যে, এই ল্যাপটপেই রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যা সন্দীপ রায়ের অনৈতিক কাজকর্মের সব রকম সূত্রের চাবিকাঠি হতে পারে।
আরও জানা গিয়েছে যে, টেন্ডার সংক্রান্ত নথি রয়েছে ল্যাপটপে। রয়েছে প্রচুর টাকার হিসেবও। কোনও প্রমাণ মুছে ফেলা দেখা হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইডি দাবী করেছে যে, তারা বেশ কিছু ডিজিটাল নথি পেয়েছে। এছাড়া, উল্লেখ্য যে, সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এ ক্ষেত্রে আরও উল্লেখ্য যে, আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা সামনে আসার পরেই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নানা অনৈতিক কাজকর্মের তালিকা সামনে এসেছে।