নিজস্ব সংবাদদাতা : গতকাল আরজিকর মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও সেই শুনানি স্থগিত রাখা হয়। কিন্তু আজ (বুধবার) সকাল ১১টায় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। এই মামলায়, তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর এখনো সুবিচারের দাবিতে আন্দোলন চলছে। ৮৮ দিন পরও বিষয়টি আদালতের সামনে রয়েছে, এবং গত সোমবার আদালত চার্জ গঠন করেছে, যা শিয়ালদা কোর্টে শুরু হবে।
মঙ্গলবার শুনানি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু অন্যান্য মামলার কারণে দেরি হয়ে যাওয়ায়, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি ভবনের একটি অনুষ্ঠানেও অংশ নিতে গিয়েছিলেন, ফলে শুনানি পেছানো হয়। বুধবার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে, এবং এতে রাজ্য সরকারকে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত একটি হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে। এই হলফনামায় বলা হবে, কোন আইনে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়, তাদের নিয়োগের পদ্ধতি কী, শিক্ষাগত যোগ্যতা কী, এবং নিয়োগের আগে কী যাচাই করা হয়।
এছাড়া, আদালত সিভিক ভলান্টিয়ারদের কীভাবে কাজে লাগানো হয় এবং বিশেষ করে হাসপাতালে বা স্কুলে তাদের নিয়োগের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছে। এমনকি, সিভিক ভলান্টিয়ারদের দৈনিক বা মাসিক বেতন সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এই মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, সিবিআই তদন্তের স্টেটাস রিপোর্টও সুপ্রিম কোর্টে জমা দেবে। আদালত এই ঘটনায় দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে চায়। আর জি কর-কাণ্ডে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা ও তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের ব্যাখ্যা প্রয়োজন। মামলার বর্তমান পরিস্থিতিতে, ১১ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁর পদ থেকে অবসর নেবেন, ফলে এই দিনটি সম্ভবত তাঁর নেতৃত্বে এই মামলার শেষ শুনানি হবে। এরপর নতুন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।