নিজস্ব সংবাদদাতা: স্বাস্থ্য সচিবের পাঠানো ইমেল বার্তায় সাড়া দিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইমেলের ভাষা অপমানজনক। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, যেভাবে ডাকা হয়েছে, তাতে আন্দোলনকেই অপমান করা হয়েছে।
সোমবার মধ্যরাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেছিলেন। দুপুর ১২টার সময় করুণাময়ী থেকে শুরু হয়ে স্বাস্থ্য ভবনের কাছে গিয়ে শেষ হয়। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশাপাশি এই মিছিলে পা মেলান রাজ্যের সাধারণ মানুষ। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছিল, মঙ্গলবার পাঁচটার মধ্যে কাজে ফিরতে হবে। না হলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এরপরে রাজ্য সরকারের তরফেও জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানান। সেই পরিস্থিতিতে পাল্টা শর্ত জুনিয়র চিকিৎসকদের দেন। তাঁরা বলেন, বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাঁদের দাবি মানলে, তাঁরা কাজে ফেরার কথা ভাবতে পারেন।
কিন্তু স্বাস্থ্য ভবন থেকে তাঁদের দাবি মানে না। যার জেরে রাতভর তাঁরা স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে থাকবেন, তা তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। বিকেল ছটার একটু পরে স্বাস্থ্য সচিব ইমেল করে নবান্নে বৈঠকে ডেকে পাঠান। যদিও ইমেলে ছিল, নবান্নের বৈঠক হবে সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা কোনও উল্লেখ ছিল না। কিন্তু চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সাড়ে সাতটা পর্যন্ত আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। তারপর তিনি নবান্ন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন।
জুনিয়র চিকিৎসকরা পরিসংখ্যান পেশ করেন। সেখানে তাঁরা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল দশা পরিষ্কার হয়ে যায়। জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior doctors) সাংবাদিক সম্মেলনে পরিসংখ্যান গত হিসেব তুলে ধরে বলেন, “রাজ্যে মোট সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ২৪৫টি। যার মধ্যে মেডিক্যাল কলেজ ২৬টি। মোট জুনিয়র চিকিৎসকের সংখ্যা ৭ হাজার ৫০০-র বেশি নয়। পশ্চিমবঙ্গে রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের সংখ্যা ৯৩ হাজার। মাত্র কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজে যেখানে সিনিয়ররা পরিষেবা দিচ্ছেন, শুধু জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি করছেন বলে স্বাস্থ্য পরিষেবা কীভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে?”