নিজস্ব সংবাদদাতা: শুক্রবার স্বাস্থ্যভবন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেখানে তাঁরা তাঁদের দাবি আরেকবার মনে করিয়ে দেন। শুক্রবার জানা যায় জুনিয়র চিকিৎসকরা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন। এই প্রসঙ্গে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, তাঁরা বৃহস্পতিবার এই চিঠিগুলো পাঠিয়েছিলেন। জানা যায় ৯ সেপ্টেম্বর তাঁরা সুপ্রিম কোর্টেও ইমেল করেছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হলে, দেশ জুড়ে বড় ধরনের আন্দোলনে নামবেন চিকিৎসকরা। সারা দেশ থেকে ভিডিও বার্তায় এমনি হুমকি দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে সরকার অনড় অবস্থান নিয়েছে। সরকারের এই অবস্থানের তীব্র বিরোধিতা করেছেন দেশব্যাপী চিকিৎসক মহল। রেসিডেন্ট এবং জুনিয়র ডাক্তারদের জয়েন্ট অ্যাকশন ফোরাম এই বিষয়ে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ভুবনেশ্বর এবং বেঙ্গালুরু থেকে এদিন ভিডিয়ো বিবৃতি জারি করে চরম হুঁশিয়ারি শুক্রবার দেওয়া হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, বাংলার জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হলে দেশব্যাপী তাঁরা বড় আন্দোলনে নামা হবে। সেটা কর্মবিরতি হতে পারে বা হরতাল হতে পারে।
শুক্রবার ভুবনেশ্বর এবং বেঙ্গালুরু থেকে এদিন ভিডিয়ো বিবৃতি জারি করা হয় রেসিডেন্ট এবং জুনিয়র ডাক্তারদের জয়েন্ট অ্যাকশন ফোরামের তরফে। সেখানে জানানো হয়েছে, বাংলায় যে জুনিয়র ডাক্তার এবং আবাসিক ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন, তাঁদের একজনের বিরুদ্ধেও যদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে তারা কঠিন অবস্থান নেবে। তা দেশব্যাপী কর্মবিরতি হতে পারে বা হরতাল হতে। সেই ভিডিওয়ের মুখ্যমন্ত্রী ও বাংলার প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি মেনে সেই বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং করতে অস্বীকার করেছে সরকার। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ভিডিও বার্তায় করা হয়েছে। সংগঠনের সদস্য প্রজ্ঞা অনির্বাণ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসকদের এই আন্দোলন বর্তমানে সারা ভারতব্যাপী বিচারের দাবিতে পরিণত হয়েছে। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে, তাকে বিরোধী কন্ঠ রোধ করার মরিয়া চেষ্টা হিসেবে দেখা হবে এবং দেশব্যাপী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে।