নিজস্ব সংবাদদাতা: বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি এবার এক বড় অভিযোগ তুললেন।
এই বিজেপি নেতা লেখেন, রানাঘাটের কামালপুর এলাকার অভিযান সংঘ এবং সকল গ্রামবাসি মিলে একটা অভিনব প্রয়াস করেছিল এবার।।
১১২ ফুটের দুর্গা প্রতিমা করে সবাইকে তাক লাগাতে চেয়েছিল তারা।। গিনেস বুক কর্তৃপক্ষকেও তারা জানিয়েছিল।।
এবার যদি তারা এটা করতে পারত তাহলে গ্রামটার অর্থনীতির পরিবর্তন হতে পারতো।। নদীয়া জেলার রানাঘাটের কামালপুরের নাম আগে আপনারা শুনেছেন?
কিন্তু এই পুজোর পর সেই গ্রামটা পরিচিতি পেত এবং এই পুজোকে ঘিরে গ্রামটার উন্নয়ন হতো এবং অনেক পরিবর্তন হতো সেই জন্য গ্রামের মানুষ সাহায্য করেছিল পুজো কমিটিকে।। ৪০ বিঘা জমিতে এইবার তারা চাষ না করে এই পুজোর জন্য দিয়েছিল এবং গ্রামের মানুষ নিজেদের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে চাঁদা দিয়েছিল পুজো কমিটিকে।।
জেলার পুলিশ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে পুজোটা বন্ধ করে দেয় প্রস্তুতির একদম শেষ পর্যায়ে এসে এবং পুজো উদ্যোক্তারা কলকাতা হাইকোর্টে আসে ।।
কলকাতা হাইকোর্ট নদিয়া জেলার জেলা শাসক কে বলে পুরোটা পুনর্বিবেচনা করতে এবং জেলা শাসক বলে দেন যে তারা অনুমতি দিতে অক্ষম।।
এরপর পুজো কমিটির কাছে একটাই উপায় ছিল আবার কলকাতা হাইকোর্টে আসা।। কলকাতা হাইকোর্টের আর চার দিন বাকি আছে ছুটির আগে এবং এর মধ্যে মামলাটা হওয়াটা প্রায় অসম্ভব।
শেষ মুহূর্তে যা কাজ আছে সেগুলো মামলার অনুমতি পেলেও করাটা আর সম্ভব হবে না সুতরাং পুজো কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা পুজাটা করছেন না।।
যে মুখ্যমন্ত্রী মানুষকে বলেছিলেন পুজোর সাথে অর্থনীতি জড়িত এবং মানুষকে বলেছিলেন উৎসবে এবং পুজোতে ফিরতে সেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসন পুজোর অনুমতি দেয় না।।
গ্রামটার অর্থনৈতিক উন্নতি হোক এটাও হয়তো রাজ্য সরকার এবং জেলা প্রশাসন চায়নি।।
তৃণমূল নেতাদের পুজোতে তো এরকম কোন দিন হয় না, এই পুজো গুলোর ক্ষেত্রেই বারবার একই জিনিস কেন হচ্ছে?