"মন্দিরের ঘণ্টার শব্দে তাদের ধর্মনিরপেক্ষতা আহত হয়, মসজিদের মাইকের আওয়াজ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য"- উস্কে দিলেন বিজেপি নেতা

বিজেপি নেতার বড় দাবি।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
bjp6

নিজস্ব সংবাদদাতা: ফিরহাদ হাকিমকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।

এই নেতা লেখেন, ফিরহাদ হাকিমের করা সম্প্রতি কিছু মন্তব্য অন্য কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে এবং সেটা যদি হিন্দুরা বুঝে না পারে তাহলে তাদেরকে ভবিষ্যৎ ক্ষমা করবে না।।

Direct Action Day বা ১৯৪৬ সালের গ্রেট কলকাতা কিলিংসের নৃশংস স্মৃতি আজও বেদনাদায়ক। সেই সময়ে মুসলিম লীগ কর্তৃক সংগঠিত সহিংসতা এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাম্প্রদায়িক নেতৃত্ব কলকাতাকে রক্তাক্ত করেছিল। বহু হিন্দু প্রাণ হারিয়েছিল, আর কংগ্রেসের নীরব ভূমিকা পরিস্থিতি আরও জটিল করেছিল। গোপাল মুখার্জি ওরফে গোপাল পাঁঠা তখন সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলে হিন্দু সমাজকে রক্ষা করেছিলেন। আজ, সেই অতীত ইতিহাস আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছে কিছু সাম্প্রতিক ঘটনা। 

সম্প্রতি কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের একটি বিতর্কিত মন্তব্য সামনে এসেছে। কিছু তৃণমূল নেতা দাবি করছেন যে, তার বক্তব্য মুসলমান সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটানোর উদ্দেশ্যে। তবে প্রশ্ন উঠছে, এই বক্তব্যে কী ধরনের শিক্ষা রয়েছে যেখানে "সংখ্যালঘু থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া"র কথা বলা হয়, অথচ মুসলমান সমাজের জীবনমান, কর্মসংস্থান বা শিক্ষার উন্নয়ন নিয়ে কোনো কথা বলা হয়নি। এটি কি আসলে শিক্ষার বার্তা, নাকি ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা? 

পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, এবং সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি যে আচরণ করা হয়, তা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ নিশ্চয়ই অবগত। হিন্দুদের ধর্মীয় নিপীড়ন, জমি দখল, এবং প্রতিনিয়ত নির্যাতনের ঘটনা আজকের বাস্তবতা। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই বাস্তবতা থেকে শিক্ষা নিতে পারলে বুঝতে পারবে ফিরহাদ হাকিম সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্ব কিসের বার্তা দিচ্ছে। রাজ্যের একজন মন্ত্রী এবং কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিমের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে চাই।। কেন্দ্রে ইন্ডি জোটের সদস্য দল যারা আছে অর্থাৎ কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট তাদের জোটসঙ্গী তৃণমূলের একজন মন্ত্রীর এই বক্তব্য সম্পর্কে কি বলে সেটাও জানতে চাই।।
বিভিন্ন সময় তৃণমূল নেতারা যে বক্তব্য রাখছেন সেগুলো শুনে মনে হয় না কোন রাজনৈতিক নেতা বলছেন,  ধর্মান্ধ কট্টরপন্থী কোন মৌলভীর বক্তৃতা মনে হচ্ছে।। এই ধরনের মন্তব্য যদি কোন হিন্দু নেতা দিত তাহলে কি হতো?  

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের "সেকুলারিজমের মশাল" হাতে নিয়ে পথে নামে, কিন্তু সেই মশালটি শুধু একদিকেই আলো দেয়।। তাদের সেকুলারিজম এমন এক চশমা, যেটা দিয়ে শুধু হিন্দুদের ভুল দেখা যায়, আর অন্য সম্প্রদায়ের ভুলগুলো কেমন জানি অদৃশ্য হয়ে যায়। মন্দিরের ঘণ্টার শব্দে তাদের ধর্মনিরপেক্ষতা আহত হয়, অথচ মসজিদের মাইকের আওয়াজ তাদের জন্য "সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য"! ধর্মনিরপেক্ষতার নামে তারা এমন এক খেলা খেলছে, যেখানে হিন্দুদের অধিকার রক্ষার কথা বললেই আপনি "সংকীর্ণ" আর অন্য সম্প্রদায়ের নামে চুপ থাকলেই আপনি "সেকুলার"। এ যেন "ধর্মনিরপেক্ষতার মেকি কারখানা" যা হিন্দুদের আক্রমণেই সবচেয়ে বেশি উৎপাদনশীল!

ওই সেকুলারিজমের মশালধারীরা কলকাতার মেয়রের এই বক্তব্য নিয়ে কি বলে তা শোনার ইচ্ছা থাকলো।।