নিজস্ব সংবাদদাতা: সংখ্যালঘু রাজনীতি নিয়ে বড় দাবি করলেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। লিখলেন একটি বড় পোস্ট। তার নিশানায় কংগ্রেস বামফ্রন্ট এবং তৃণমূল।
এই নেতা লেখেন, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি: ভারতের স্বাধীনতার পরে এক গভীর ষড়যন্ত্র
ভারতের স্বাধীনতার পরে দেশভাগের ক্ষত সারিয়ে তোলার সময় থেকেই সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে কাজ করে আসছে। মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা, মালদা, এবং উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলো যেখানে একসময় হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল, সেখানে আজ হিন্দুরা সংখ্যালঘু। এই পরিবর্তনের ইতিহাস নিছক জনসংখ্যার পরিবর্তন নয়; এটি দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং অবহেলার ফল।
### ১৯৪৭-এর ভুল সিদ্ধান্ত এবং কংগ্রেসের দায়
দেশভাগের সময় **Transfer of Population** সম্পূর্ণভাবে কার্যকর না হওয়া ছিল একটি বড় ভুল, যার জন্য কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারকে দায় নিতে হবে। দেশভাগের সময় লাখ লাখ হিন্দু তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। তারা ছিল নিপীড়নের শিকার, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, যারা নিজেদের ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য ভারতে এসেছিল। এদিকে, মুসলমানরা কেন ভারতে অনুপ্রবেশ করল? সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে তাদের বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে) থাকার কথা, তবে তারা পরিকল্পিতভাবে ভারতে প্রবেশ করল। এটি কোনো মানবিক সংকট ছিল না; এটি ছিল এক গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
### মুসলিম অনুপ্রবেশ এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র
বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম অনুপ্রবেশকারীরা কেন ভারতে এল, সেই প্রশ্নের উত্তর আজও নেই। বাস্তবে, এটি ছিল কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, এবং পরে তৃণমূলের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর এক বৃহত্তর ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির অংশ।
- **হিন্দু শরণার্থীরা নাগরিকত্বের জন্য সংগ্রাম করল**, কিন্তু মুসলমান অনুপ্রবেশকারীরা খুব সহজেই যাবতীয় ভুয়া নথি, নাগরিকত্ব, এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে গেল।
- কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জন্য নাগরিকত্বের প্রমাণ এবং সরকারি সুবিধা দিতে যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে, তা দেশের আইনের প্রতি অপমান।
### সংখ্যালঘু তোষণের চরম পরিণতি
আজ পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা, মালদা এবং অন্যান্য অঞ্চলে হিন্দুরা নিজেদের ভূমিতেই প্রান্তিক হয়ে পড়েছে। এই পরিবর্তন শুধুমাত্র জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করেনি; এটি ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, এবং আর্থসামাজিক কাঠামোকেও দুর্বল করে তুলেছে। যারা এই সত্য উচ্চারণ করেছে, তাদের *"সাম্প্রদায়িক"* তকমা দেওয়া হয়েছে।
### "Bharat tere tukde honge" এবং রাজনৈতিক নির্লজ্জতা
আজ যখন দেশের ভেতরে *"Bharat tere tukde honge"* স্লোগান দেওয়া হয়, তখন এই একই রাজনৈতিক শক্তি (কংগ্রেস, তৃণমূল, এবং বামপন্থীরা) নীরব থাকে। এরাই দেশের শত্রুদের সমর্থন করে, তাদের দায়মুক্তি দেয়, এবং কেবল ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত করার জন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে বিকিয়ে দেয়।
### দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার সময় এসেছে
এখন প্রশ্ন করার সময় এসেছে—
- হিন্দু শরণার্থীরা শুধুমাত্র ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ভারতে এসেছিল। কিন্তু মুসলমান অনুপ্রবেশকারীরা কেন এসেছিল?
- কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, এবং তৃণমূল মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের জন্য যাবতীয় ভুয়া নথি এবং সুযোগ-সুবিধা কেন দিয়েছিল?
- দেশের নিরাপত্তা এবং জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষায় তারা কেন ব্যর্থ হলো?
### সময়ের দাবি
ভারতের জনগণের এখন উচিত এই প্রশ্নগুলির উত্তর দাবি করা এবং ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য যারা দেশের সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করেছে, তাদের জবাবদিহি করতে বাধ্য করা। প্রকৃত শরণার্থীদের ন্যায়বিচার দেওয়া এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করা আজকের দিনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশপ্রেম এবং ভারতের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য এই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অবসান ঘটাতে হবে।